জঙ্গলি বিষাক্ত মাশরুমের বলি আরও এক, মৃত বেড়ে ৫
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই মালবাজার ২৪শে এপ্রিল, ২০১৮: জঙ্গলি মাশরুম খেয়ে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ল। এপর্যন্ত মৃত্যু হল পাঁচ জনের। রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল চার। মঙ্গলবার সকালে মনদীপ ভুজেল (২৬) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় মৃত্যুর কারন অনুসন্ধানে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হল। উল্লেখ্য, গত বুধবার ওই বনবস্তীর খালি ভুজেল নামের এক যুবক বনাঞ্চল থেকে মাশরুম সংগ্রহ করে আনে। সেই মাশরুমের রেধে দুই পরিবারের ৬ সদস্য খায়। মাশরুম পাহাড়ি মানুষদের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকার মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবে চিন্তার কোন কারন ছিল না। কিন্তু, বৃহস্পতিবার আচমকাই ওই ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাদের মাল সুপার স্পেডালিটি হাস্পাতালে আনা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় শ্যাম রাই (৬৩) এক বৃদ্ধের। বাকিদের উত্তরবঙ্গ মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিন জনকে শিলিগুড়িরর এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বাকি দুই জনকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয় আশা রাই (৬০) শনিবার ও রবিবার পরপর দুদিনে মেডিকেল কলেজে মারা যায় খালি ভুজেল ৩২) ও নবীন ভুজেল (২৫)। বাকি একজন শিলিগুড়ির নার্শিহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। মাশরুম খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এরপরইই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ওই বস্তীর বাসিন্দা ইউসুফ প্রধান বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। সোমবার বিকাল নাগাদ পুলিশ ও প্রশাসনের লোকেরা রাই পরিবারের দুজনের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। ভুজেল পরিবারের মৃতদের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর সৎকারের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ গুলি পরীক্ষার জন্য ফের নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেছে। গরুবাথানের বিডিও শ্রী বিশ্বরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, গতকাল ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। দুটি মৃতদেহ তুলে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা নিরিক্ষার পরই মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)