চামুর্চী চা বাগানে অচলাবস্থা চলছে

অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা জলপাইগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বানারহাট, ৭ই মার্চ ২০১৯: শ্রমিক অসন্তোষে বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের চামুর্চী চা বাগানে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হল। দুর্গাপূজার সময় প্রাপ্য বকেয়া বোনাস, বেতন বৃদ্ধি, বার্ষিক ছুটি এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটির বকেয়া প্রদানের দাবীতে এদিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে বাগানের গেটে জমা হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। চা বাগানের শ্রমিকেরা জানান ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী গতবছর দুর্গাপূজাতে তাদের ১৪.২৫ শতাংশ হারে বোনাস পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বছর পেরলেও তারা সেই বোনাস পান নি। এরই সাথে বর্তমানে এই চা বাগানের শ্রমিকেরা ১৫০ টাকা দৈনিক হাজিরা পাচ্ছেন। তাদের জানুয়ারি থেকে ১৭ টাকা বেতন বৃদ্ধির চুক্তি হলেও তা এখনও কার্যকর হয় নি। চা বাগানগুলি শীতের মরসুমে বন্ধ থাকায় নতুন করে চায়ের উৎপাদন শুরু করার আগে ফ্যাক্টরির বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই বছর সেই রক্ষণাবেক্ষণ না করায় চা ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন শুরু করা যায় নি। বাগান উৎপাদিত কাঁচা চা পাতা বাইরে বিক্রি করার বিষয়টিকে শ্রমিকেরা মেনে নিতে পারছেন না। তারা চাইছেন দ্রুত ফ্যাক্টরিতে চায়ের উৎপাদন চালু হোক। চা বাগান তৃনমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক মহঃ হাকিমুদ্দিন, ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি রাজু পানতাঁতি, চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি রামলাল লোহার বলেন মালিক পক্ষ টালবাহানা করেই চলেছে, তারা শ্রমিকদের নুন্যতম ন্যায্য দাবী গুলিও মেটানোর কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।  শ্রমিকদের সামনে এসে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করার লিখিত নিশ্চয়তা দিলেই তারা কাজে যোগ দেবেন। এরই সাথে বাগানের ফাঁকা জায়গায় বাইরে থেকে শ্রমিক এনে ‘লেমন গ্রাস’ এর চাষ করে সুগন্ধি তেল নিষ্কাশনের ফ্যাক্টরি চালিয়ে চা উৎপাদনকে গৌণ শিল্পে পরিণত করার চেষ্টা বন্ধের দাবীও জানান তারা। চা বাগানের ম্যানেজার প্রমতেশ শ্রীবাস্তব বলেন বাগান পরিচালন কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শ্রমিকদের দাবী গুলি মিটিয়ে দেওয়া যাবে।

ছবি: টি.এন.আই সংবাদচিত্র

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!