বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটে হাতির আক্রমণে শ্রমিকাবাস ভাঙচুর
অঙ্কিতা সেন (টী.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, বানারহাট, ২৯শে জুন, ২০১৮: চা বাগান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বন-দফতরের অফিস তবুও হাতির হানা রুখতে চা শ্রমিকদের রাত জেগে প্রহরা দেওয়াই ভরসা। তবুও দামাল দাঁতালের হাত থেকে রেহাই মিলছে না। দলছুট দাঁতালের হানায় ফের ভাঙল ৬টি শ্রমিকাবাস। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিন্নাগুড়ি চা বাগানে। চা বাগানের নেপালী লাইনে দলছুট দাঁতাল তাসের ঘরের মতোও ভেঙে পড়ল রেনুকা ছেত্রী, বন্ধন ওঁরাও, চারওয়া ওঁরাও, রীনা সার্কি, মহাবীর ওঁরাও দের পাকা শ্রমিক আবাসন। বিন্নাগুড়ি চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার আনন্দ শুক্লা বলেন বিন্নাগুড়ি চা বাগানের থেকে খুব কাছেই বনদফতরের বিন্নাগুড়ি রেঞ্জ অফিস। তা সত্বেও চা বাগানে হাতির হামলা রোখার জন্য বনদফতরের খুব একটা সাহায্য মিলছে না।
একপ্রকার বাধ্য হয়েই চা বাগানের ৮ জন শ্রমিক ও ৩ টি ট্রাক্টর নিয়ে হাতি তাড়ানোর একটি দল গঠন করা হয়েছে, এরা হাতির হানা রুখতে রাতে চা বাগানে টলহ দেয়, যদিও এই ব্যবস্থা একশো শতাংশ কার্যকরী নয়। সান্মানিক ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন দলছুট দাঁতাল হাতিটি মাঝে মাঝেই জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আসছে, বন-দফতরের কর্মীরা হাতির হানা রোখার জন্য লাগাতার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এরই পাশাপাশি আজ শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ বানারহাট কলনীতেও হাতি হানা দেয়, বানারহাট আদর্শপল্লী ও ক্ষুদিরাম পল্লীর চা বাগান ঘেঁষা এলাকাতে একটি মাকনা হানা দেয়, এর ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও যথেষ্ট আতংকিত বাসিন্দারা। স্থানীয় বাশিন্দা এবং বনকর্মীরা হাতিটিকে তাড়িয়ে মোরাঘাট জঙ্গলের দিকে পাঠিয়ে দেয়
ছবি: অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই)