ধুপগুড়িতে চিকিৎসকের অভাব ছাপিয়ে বাড়ল চিকিৎসার পরিধি

সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ২৯শে জুন, ২০১৮: চিকিৎসকের অভাব ছাপিয়ে বাড়ল চিকিৎসার পরিধি। আর তারই ঘটা করে উদবোধন করলেন জেলা শাসক এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা। উদবোধনের পর জেলার প্রশাসনিক এবং স্বাস্থ্য বিভাগে আধিকারিকরা স্বীকার করে নিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকের অভাবের ঘটনাটি। শুক্রবার ধুপগুড়ি হাসপাতালের নবনির্মিত জরুরি বিভাগ উদবোধন করতে এসে একথা স্বীকার করে নিলে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক শিল্পাগৌরি সারিয়া এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা: জগন্নাথ সরকার। এদিন বেলা ৪ টা নাগাদ ধুপগুড়ি হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের দ্বারদোঘাটন করেন জলপাইগুড়ি জেলা শাসক শিল্পাগৌরি সারিয়া। পাশাপাশি তিনি নবনির্মিত রোগীদের অবজারবেশন ওয়ার্ড সহ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। হাসপাতালের ভেতরে অর্ন্তবিভাগের মধ্যে ইতিমধ্যেই রয়েছে প্রসুতি বিভাগ,শিশু বিভাগ,পুরুষ বিভাগ এবং মহিলা বিভাগ, জরুরি বিভাগ। এছাড়াও রয়েছে এস.এন.এস.ইউ। এতগুলি একসঙ্গে চলছিল এক জায়গায়। শুক্রবার তারই মাঝ থেকে কেবল জরুরি বিভাগকে পৃথক ভাবে নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তর করা হল। যদিও এই মুহুর্তে হাসপাতালের চিকিৎসকের সংখ্যা সবমিলিয়ে চার জন। নার্সের সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। এতদিন থেকে জরুরি বিভাগ সহ বিভিন্ন বিভাগ একসঙ্গে থাকলেও চাপ ছিল, এখন পৃথক হওয়াতে চাপ আরো বাড়ল। এদিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সামনে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয় ধুপগুড়ি হাসপাতাল এই মুহুর্তে ৮০ টি শয্যা রয়েছে নামেই কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তা রয়েছে ৬০ শয্যার হাসপাতাল বলে জানিয়েছেন ডা: জগন্নাথ সরকার। তবে এই বিষয়ে রোগী কল্যান সমিতি এবং হাসপাতালের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো সহ আবেদন জানানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য বলে তিনি আরো জানান। উদবোধন সেরে জেলা শাসক সাংবাদিকদের বলেন,ধুপগুড়ি হাসপাতালে শুধু চিকিৎসকের সমস্যা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এই সমস্যা রয়েছে। তবে এই বিষয়ে রাজ্য দফতরকে বলা হয়েছে। এছাড়াও ধুপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনার পর হাসপাতালের পুলিশ পিকেট বসানো এবং ১৫ -২০ দিনের মধ্যে তুলে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে এবং পুলিশ পিকেট নিয়ে পুলিশের কথা বলা হবে।এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মীর সংখ্যার অভাব নিয়ে তিনি বলে স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি জানানো হবে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এদিন চিকিৎসকের অভাব নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন চিকিৎসকরা জান প্রান দিয়ে কাজ করেন,চিকিৎসকের অভাব তো রয়েছে, তা স্বীকার করতেই হয়,তবে সেটাকে বড় করে দেখার কিছু নেই। এছাড়াও আউটডোরে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বসিয়ে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,এটা কেন্দ্রের নিয়মেই আছে। তবে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী সহ অন্যান্য কর্মীদের নিয়োগের বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।

ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!