স্কুলের গাছ কাটার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিল ফালাকাটার একাধিক সামাজিক সংগঠন
অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ফালাকাটা, ৭ই মে, ২০১৮: ফালাকাটায় বিভিন্ন সংগঠন মিশনারি স্কুলের গাছ কাটা নিয়ে আন্দোলনে নামলেন। সোমবার বিভিন্ন সংগঠন ফালাকাটার বিডিও ও আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প আধিকারিকের কাছে আলাদা আলাদাভাবে গাছ কাটার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। এদিন ফালাকাটার বিডিওকে আলাদা আলাদা ভাবে গাছ কাটার ঘটনার তদন্ত দাবি করা হয় ফালাকাটার জনজাগরন মঞ্চ, বিজ্ঞান মঞ্চ ও এলিক্সার নামে তিনটি সংগঠন থেকে। উল্লেখ্য সম্প্রতি স্কুল ক্যাম্পাসের ২৫৮ টা গাছ কেটে ফেলেছেন ফালাকাটা স্টেশন সংলগ্ন রেমন্ড মেমোরিয়াল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কতৃপক্ষ। স্কুল ক্যাম্পাসের বাড়ন্ত শেগুন শিশু গাছ কেটে ফেলানোয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও ইংরাজি মাধ্যম এই বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানিয়েছে স্কুলের সীমানা প্রাচীরের অর্থ সংগ্রহ করার জন্য স্কুল ক্যাম্পাসের এই সব গাছ কাটা হয়েছে। এই গাছ কাটার ক্ষেত্রে বন দফতরের উপযুক্ত অনুমতি নিয়েছে স্কুল কতৃপক্ষ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার পথে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন। জনজাগরন মঞ্চের ফালাকাটা শাখার কর্নধার ডঃ প্রবীর রায় চৌধুরি বলেন, “সীমানা প্রাচীরের জন্য গাছ কাটার ঘটনা নজীর বিহীন। আমরা এই ঘটনার নিন্দা করছি। এই গাছ কাটার পেছনে নানান রহস্য রয়েছে। বন্দফতর কিভাবে এই গাছ কাটার অনুমতি দিলেন তাও খতিয়ে দেখা দরকার”। ফালাকাটার বিডিও স্মিতা সুব্বা বলেন, “ডাকে আমার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমি এখনও অভিযোগ পত্র খতিয়ে দেখতে পারি নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করবো”। ফালাকাটার ওই স্কুল কুচবিহার বনদফতরের অধিনে। কুচবিহার বনদফতরের সহকারি বন্যপ্রান সহায়ক শ্রী বিমল দেবনাথ বলেন, “কি কারনে স্কুল কতৃপক্ষ গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছিল তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। তবে বিশেষ কারনে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে”। এই গাছ কাটার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প আধিকারিককে স্মারক লিপি দিয়েছে জন জাগরন মঞ্চের আলিপুরদুয়ার জেলা শাখা। এদিন কুমারগ্রাম – জোড়াই সড়কে গাছ কাটার ঘটনারও প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছে জনজাগরন মঞ্চ।
ছবিঃ অরুনাংশু মৈত্র (টী.এন.আই)