প্রকাশ্যে এলেন ময়নাগুরির প্রশ্ন-কান্ড ফাঁস করা শিক্ষক বিশ্বজিত রায়
সোমনাথ চক্রবর্তী (টী.এন.আই ময়নাগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ময়নাগুরি ২২শে মার্চ ২০১৮: বৃহস্পতিবার ময়নাগুরি সুভাষনগর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন তার স্কুলেরই শিক্ষক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়। বিশ্বজিৎ বাবু জানান তিনি ২০১৩ সালে এই স্কুলে শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হন। প্রতিবছরই সুভাষনগর হাইস্কুল উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে ভালো ফল করলেও মাধ্যমিকে কোন ভালো ফল করতে পারে না। এর জন্য সম্ভবত হরিদয়াল বাবু এ বছর মাধ্যমিকে এই কান্ড করে বসলেন বলে অভিযোগ এই শিক্ষকের। তিনি আরো জানান যে সব ছাত্র উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে আসছেন তারা কলেজে গিয়ে বা অন্য কোন স্থানে পরিক্ষা দিতে গেলে কিছুই পারছে না ফেল করে বসছে সেই ছাত্র। তিনি সবচেয়ে বড় অভিযোগ করে বসেন প্রতিদিনই হরিদয়াল বাবু সকাল ১০:৩০ মিনিটেই প্রশ্নের প্যকেট খুলে ফেলতো। এই ব্যপারটা স্কুলের অনেক শিক্ষক জানলেও চুপ করে সহ্য করে থাকতেন। কারন শ্রী হরিদয়াল রায় কে জানা যায়, তিনি অনেক পলিটঅক্যালি স্ট্রং লোক। চাকুরির ক্ষেত্রে চাপ আসতে পারে। তিনি আরো জানান প্রশ্ন ফাস ঘটনাটা ঘটার পর আরো ৫ জন যারা তার সাথে ছিলো তারাও আজ পিছিয়ে গেছেন। বিশ্বজিৎ রায় গোটা স্কুলটিকে ঘুঘুর বাসা বলেছেন। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি সাংবাদিকদের সম্মুখে একথাও বলেছেন স্কুলের বাইরেও একজনের বাড়িতে হরিদয়াল রায় প্রশ্নপত্র লিখে উপযুক্ত ছাত্রের কাছে পাঠিয়ে দিতো। বিশ্বজিৎ বাবু আরো বলেন তিনি আর এই স্কুলে চাকুরি করতে চান না এই স্কুলের পরিবেশ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। হরিদয়াল রায় উগ্র ও বদমেজাজি প্রকৃতির লোক বলেও জানান বিশ্বজিৎ রায়। বিশ্বজিৎ বাবু এদিন সাংবাদিকদের সামনে তার পুলিশি সাহায্য এর কথাও উল্লেখ করেন। অন্য শিক্ষকেরা হরিদয়াল রায়ের ব্যপারে জানলেও মুখ বন্ধ করে আছেন একথাও তিনি এদিন জানালেও তিনি বলেছেন আমি সত্যের সাথে আছি তাই মুখ খুলেছি। বিশ্বজিৎ বাবু স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক থেকে শুরু কোরে গ্রুপ সি গ্রুপ ডি কর্মিদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ এনে বলেন তাকে তারা মুখ বন্ধ রাখার জন্য অনবরত চাপ দিয়েই চলছেন। এককথায় এই স্কুলটি যে ঘুঘুর বাসায় পরিনত হয়েছে তা তিনি আগেই বুঝতে পেরে গেছিলেন।
ছবিঃ সোমনাথ চক্রবর্তী (টি.এন.আই)