জোড়া নাবালিকার বিয়ে রুখল দিল ধুপগুড়ী থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ী ৬ই মার্চ ২০১৮: গোপন সুত্রে খবর পেয়ে জোড়া নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন। সোমবার রাতে ধুপগুড়ী ব্লকের ঝাড় আলতা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গারখুটা ও উত্তর খুট্টিমারি গ্রামে রীতিমত দুই নাবালিকার বিয়ের আসর তৈরী হয়েছিল। এমনকি একটি বিয়েতে চলে এসেছিল ছেলের বাড়ির লোকজনও। তবে সেই খবর ধুপগুড়ী থানার পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনের সংস্লিষ্ট আধিকারিক সিডিপিও-র কাছে আসতেই বিয়ে রুখতে গ্রামে চলে অভিযান। দুই পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বিয়ে রুখে দিতে সম্ভব হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার পর নাবালিকার বিয়ের খবর আসে সিডিপিও-র কাছে। তৎক্ষণাৎ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন আধিকারিকরা। এদিকে গ্রামে দুই নাবালিকা পরিবারেই বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল। একটি বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষের সদস্যরাও চলে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎই পুলিশ দেখে চমকে যায় সকলে। পরে তথ্য অনুযায়ী দুই কনের আধার কার্ড, জন্ম শংসাপত্র যাচাই করে আধিকারিকরা। স্পষ্ট হয় দুই কনেই নাবালিকা। কিন্তু প্রথম অবস্থায় বিয়ের আয়োজন ভন্ডুল করে মেয়ের বাড়ির লোকেরা বিয়ে রুখতে চায়নি। তবে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের অনড় ভূমিকায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ধুপগুড়ী থানার আইসি শ্রী সঞ্জয় দত্ত জানান, “নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে থানাতেও আলাদা ভাবে খবর আসে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যা মিটেছে।” অন্যদিকে ডিপিও শ্রী সন্দীপ দে বলেন, “গোপন সূত্রে খবর আসে একই দিনে দুটি ভিন্ন জায়গায় দুই নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে।হাতে সময়ও যথেষ্ট কম ছিল। তাই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌছে দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। তারা মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কা না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে না বলেও জানায় দুই পরিবারের অভিভাবকরা।”
ছবিঃ সুপ্রীয় বসাক (টী.এন.আই)