বানারহাটে কবরস্থান না থাকায় কবর দিতে বিপাকে মানুষ

অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বানারহাট, ৯ই জুলাই, ২০২১: বানারহাটে কবরস্থান না থাকায় শহরে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা মহাবিপাকে পড়েছেন। তারা পার্শ্ববর্তী বানারহাট চা বাগানের কবরস্থান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছিলেন। বর্তমানে চা বাগান সেই কবরস্থানে জায়গায় অভাবের কারনে বহিরাগত কারোও দেহ সমাধিস্থ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বানারহাট শহরের বাসিন্দারা৷ কবরস্থানের জমির দাবীতে তারা অতিরিক্ত জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন।

বানারহাটের বাসিন্দা ওয়াসিম সিদ্দিকী বলেন বুধবার রাতে শহরের গ্যান্দ্রাপাড়া রোডের নিবাসী আব্দুল খালিদ এর মৃত্যু হয়। তার দেহ বানারহাট চা বাগানের কবরস্থানে সমাধীস্থ করার জন্য নিয়ে গেলে বাগানের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। এদিন দীর্ঘ আলচনার পর আব্দুল খালিদ এর দেহ সমাধীস্থ করা হয়। ওয়াসিম বাবু বলেন চা বাগানের কবরস্থানে স্থানাভাবের কারনে একই জায়গায় একাধিক কবর দেওয়া হচ্ছে। কবর দেওয়ার জন্য মাটি খোঁড়ার সময় হাড়গোড় বেড়িয়ে আসছে। তাই এর পর থেকে চা বাগানের বসবাসকারী নন এমন কারোও দেহ বাগানের কবরস্থানে সমাধি দেওয়া যাবে না বলে তাদের জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জানার পর শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা মহা বিপাকে পড়েছেন। এর পর কারোও মৃত্যু হলে তাকে কোথায় সমাধিস্থ করা হবে তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না।

মুসলিম আঞ্জুমান কমিটির সদস্য রোজি খান বলেন বানারহাট এলাকায় কবরস্থানের সমস্যা দীর্গদিনের। ১৯৯৭ সালেই বানারহাট চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল বাগানের বসবাসকারী নন এমন কারোও দেহ যাতে বাগানের করবস্থানে সমাধীস্থ না করা হয়। সমস্যা সমাধানের দাবীতে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন পূর্তবিভাগের মন্ত্রী মনোহর তিরকে’কে তারা বিকল্প কবরস্থানের দাবী জানিয়েছিলেন। তার পর থেকে লাগাতার এই বিষয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিআকর্ষন করা হয়েছে। রোজি বাবু বলেন বানারহাট শহরের বাইরে জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কিছু সরকারি পতিত জমি রয়েছে যা কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বিষয়ে বিগত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেও জেলা শাসককে তারা সমস্যার কথা জানিয়েছেন বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ২৫শে অগাস্ট ২০২০ পুনরায় ই-মেইল করেছেন। এদিন নতুন করে সমস্যা তৈরি হওয়ার পর আজ তারা আবারোও জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার)কে তাদের সমস্যা ও এই সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সদর্থক পদক্ষেপ করা হবে বলেই তারা আশা করছেন।

প্রতীকী ছবি

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!