কয়েক হাজার লিটিল ম্যাগাজিন নিয়ে ইসলামপুরে উদ্বোধন হল গ্রন্থাগারের
সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ৯ই ডিসেম্বর, ২০১৮: কয়েক হাজার লিটিল ম্যাগাজিন এবং বিভিন্ন বিষয়ের বই নিয়ে তৈরি হল আস্ত একটা গ্রন্থাগার। সঙ্গে তৈরি হল মুক্ত পাঠ কক্ষেরও ব্যবস্থা। সাহিত্য ও সংবাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগও থাকছে সেখানে। এর কারণ ওই গ্রন্থাগারে রয়েছে দেশ বিদেশের বর্তমান ও বহু হারিয়ে যাওয়া লিটিল ম্যাগাজিন কিংবা মুদ্রণ বন্ধ হয়ে যাওয়া সংবাদ পত্র। বলা যেতে পারে ছোট্ট এক সংগ্রহশালা। অর্থাৎ গবেষণার জন্য সহযোগী বই বা তথ্য মুহূর্তেই মিলবে সেখানে। এসবের মাঝেই মাঝে মাঝেই মুক্ত পাঠ কক্ষে বসবে সাহিত্য পাঠ কিংবা প্রাণ খোলা আড্ডা। এলাকার আশ্রমপাড়াতে একটি বাড়ির একাংশ জুড়েই বানানো হয়েছে এই সাম্রাজ্য। সেখানে এসে পাঠের জন্য কিংবা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ওই গ্রন্থাগারের দরজা খোলা থাকছে। শনিবার রাতে ওই গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করলেন বিধায়ক এবং ইসলামপুর মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান শ্রী কানাইলাল আগরওয়াল। সেখানে ছিল ‘সেতু’ সাহিত্য পত্রিকার বিশেষ সাহিত্য সংখ্যা ‘বৃদ্ধাশ্রম’ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। প্রকাশ করেন অধ্যাপক বাপন দাঁ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে প্রাণ খোলা আড্ডার উদ্বোধন করেন প্রযোজক নুরুল হাসান। অনুষ্ঠানে একের পর এক শায়েরীতে আড্ডার আসর মত করেন তিনি। কবি নিশিকান্ত সিনহা শোনান আড্ডার জীবন বৃত্তান্ত।সেকাল ও একালের বর্ননায় হারিয়ে গিয়ে ভবেশ দাস শোনালেন গ্রাম ও শহরের কথা। কর্ণদেব রায় শোনান হাস্যকৌতুক। শিলিগুড়ির বেনোজল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক শ্রী বাপন দাঁ আড্ডার সঙ্গে সময়ের সংযোগ উল্লেখ করেন। স্বরূপনান্দ বৈদ্য শোনান গ্রামীন এলাকায় উঠোনে মাদুর পেতে আড্ডার কথা। নাট্য কেন্দ্রীক আড্ডার পর্বে ফিরলেন নাট্যকার উত্তম সরকার। শিলিগুড়ির প্রযোজক, লেখক ও সমাজকর্মী নুরুল হাসান শোনান মোবাইল কেন্দ্রীক আড্ডার কথা। এক সময় প্রাচীরে বসে আড্ডার কথায়ও নস্টালজিক হয়ে পড়েন তিনি। আড্ডার বিষয়ে রকমফের উঠে এলো প্রসূন শিকদারের আলোচনায়।সুদীপ্ত ভৌমিক একালের আড্ডা প্রসঙ্গে আড্ডার প্রকারভেদ নিয়ে মূলত আলোকপাত করলেন। সংকীর্ণতা কাটাতে আড্ডাকে দাওয়াই বলেই মনে করেন প্রশান্ত প্রামানিক। অভিজিৎ আচার্য্য ও শুক্লা সিনহা আড্ডায় এসে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। কথিকা সিনহা আড্ডা নিয়ে শৈশবের স্মৃতিকেই তুলে ধরেন। রিঙ্কু বৈদ্য আড্ডায় না থাকতে পারলেই মন খারাপ হয়ে যায় বলে দাবি করেন। এই প্রসঙ্গে মৌসুমী নন্দী আড্ডা মানেই যে গল্প আর অজস্র কথার আদান প্রদান তা প্রমাণ করে দিলেন তার আলোচনাতেই। সম্পা শেঠ কলেজ জীবনের বন্ধুদের নিয়ে রাসমেলার আড্ডার বর্ননায় হারিয়ে ফেলেন নিজেকে। আড্ডা নিয়ে আলোচনা চলতে চলতে কখন যে সত্যিকারের আড্ডায় স্বতস্ফূর্ত ভাবে সবাই নিজেদের মেলে দিলেন তা যেন কেউ বুঝতেই পারলেন না।
ছবি: সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই)