দাড়িভিট স্কুলে ফের তালা লাগিয়ে ধরনায় বসলেন নিহত ছাত্রদের পরিবার
দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ৮ই ডিসেম্বর, ২০১৮: শনিবার ফের দাড়িভিট স্কুলে তালা লাগিয়ে ধরনায় বসলেন দারিভিটকাণ্ডে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার সকালে দুঘন্টা স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করে পরে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষকদের আবেদনে স্কুল খুলে দেয় তারা। পরে বিকেলের দিকে ফের অনিদিষ্টকালের জন্য তালা লাগিয়ে দেয় মৃত দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকালে দাড়িভিট স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা এসে দেখেন স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে ধরনায় বসে আছেন মৃত তাপস ও রাজেশের পরিবারের সদস্যরা। তাদের সাফ কথা সিবিআই তদন্ত, দোষী শিক্ষকদের সাজা ও নির্দোষ ধৃতদের মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী না মানা হলে স্কুলের তালা খুলবেন না। দারিভিট হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মন্ডল সহ বাকি শিক্ষক শিক্ষিকারাও এদিন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের কাছে স্কুল খুলে দেওয়ার আর্জি জানালেও কোনও ফল হয়নি। এদিকে এদিন স্কুলে আসা পড়ুয়ারা ফিরে চলে যায়। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, আজকে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর ওয়ার্ক এডুকেশন ও ফিজিক্যাল এডুকেশন পরীক্ষা ছিল।
নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলছে। মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ রয়েছে। এছাড়াও অষ্টম ও নবম শ্রেণীর প্রোজেক্ট জমা নেবার বিষয়ও রয়েছে। স্কুল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি সিবিআই তদন্তও চায় তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর স্কুলে পঠন পাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রশাসনকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য এই নিহত ছাত্রদের পরিবার স্কুল খুলে দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাস মতো দাবী পূরণ না হওয়ায় তাঁরা ফের স্কুল বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে। মৃত তাপসের মা মঞ্জু বর্মন জানিয়েছেন, প্রশাসনকে আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে চাই আমরা। মমতা দিদি যেমন সিবিআই তদন্ত দেওয়া বন্ধ করেছে তার জন্য আমরা মমতা দিদিকে দারিভিট হাই স্কুলের মাঠে চাই। মমতা দিদির তো আর সংসার সন্তান নাই তাই উনি কি বুঝবেন সন্তানহারা মা-বাবার যন্ত্রনা। যতদিন সিবিআই তদন্ত না পাবো ততদিন এই আন্দোলন চলবে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মন্ডল জানিয়েছেন, ওরা গেটে তালা লাগিয়ে স্কুলের গেটে বসে আছেন আমাদেরকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। আজ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীর রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিল। দশম শ্রেনীর ফর্ম ফিলাপ চলছিল ও পরীক্ষাও ছিল। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে দশম শ্রেনীর ফর্ম গুলি পাঠাবে হবে। কোন কাজই করতে পারছি না আমরা। এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি।
ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)