ছাত্র মৃত্যুর তদন্তে ইসলামপুরের দারিভিটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ১১ই অক্টোবর, ২০১৮: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ২১ দিনের মাথায় আজ দিল্লী থেকে ডিআইজি ছায়া শর্মার নেতৃত্বে জাতীয় মনবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল তদন্তে এলেন ইসলামপুরের দাড়িভিট গ্রামে। মানবাধিকার কমিশনের ওই প্রতিনিধিদল মৃত দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সাথে কথা বলেন। দুই পরিবারের সাথে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। কথা বলেন দাড়িভিট গ্রামের মানুষদের সাথেও। নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের পাশাপাশি জখম বিপলব সরকারের পরিবারের সাথেও কথা বলেন এবং আহত বাচ্চু সিকদারের সাথে কথা বলে কমিশন। দারিভিট হাই স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন কমিশনের কর্তারা। তবে তদন্তের স্বার্থে মুখ খুলতে নারাজ মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রতিনিধি দল দাড়িভিট এলাকায় তদন্তের কাজ চালাবেন। উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশ ছাত্র সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকার ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও মৃত ছাত্রদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে আজও বন্ধ করে রেখেছেন দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজ দিল্লী থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে দাড়িভিট গ্রামে আসেন। মৃত ছাত্র তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা আজকে এলাকার  ছাত্র-ছাত্রীদের  কাছে জিজ্ঞাসা করেছে তাদের কথা রেকর্ড করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কিন্তু আজকে অভিভাবকদের কথা রেকর্ড করেনি মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি ছায়া শর্মা এব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।

ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!