আত্মপ্রকাশ পেল বাংলার টাইমসঅফনর্থ.ইন -এর শারদ সংখ্যা – “উমা”

“অপরিচিতের নাম ধরণীতে,
পরিচিত জনতার সরনীতে।
আমি আগন্তুক,
আমি জনগণেশের প্রচন্ড কৌতুক।
খোলো দ্বার,
বার্তা আনিয়াছি বিধাতার।
পাঠায়াছে দুর্লক্ষ অক্ষর,
বল দুঃসাহসী কে কে
মৃত্যু পন রেখে
দিবি তার দুরহ উত্তর..”
– কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

একবিংশ শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল পথচলা। সালটা ছিল ২০১১, গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে শুরু এই কঠিন যাত্রা। সে কত বাঁধা কত বিপত্তি এড়াতে হয়েছে। সামলাতে হয়েছে অত অবজ্ঞা কত প্রতিকূলতা। কর্মের প্রতি সর্বদাই ঋত হয়ে, বিচলিত না হয়ে অবশেষে মহালয়ার পুণ্য তিথিতে, দেবী পক্ষের সূচনার আবহে প্রকাশিত হল বাংলারটাইমসঅফনর্থ.ইন -এর ২০১৮ শারদ সংখ্যা – ‘উমা’

উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত অনলাইন সংবাদ পত্রিকা, প্রতি ষান্মাসিক ভাবে প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকায় উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি, সাহিত্য, ভ্রমণ তথা নানা অজানা তথ্য প্রকাশিত করা হয় যা কিনা বিভিন্ন বা বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের লেখক-লেখিকাদের দ্বারা রচিত হয়।

শত ঘাত-প্রতিঘাতকে উপেক্ষা করে প্রখ্যাত লেখক-লেখিকাদের কাছে পৌঁছে গিয়ে, তাদের নিকট লেখা প্রাপ্তির আর্জি জানানো হয়। তাঁরা বিশ্বাস ও ভালোবাসার মর্মিতার প্রেক্ষিতে তাদের সন্তানদের অর্থাৎ লেখাগুলোর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল আমাদের হাতে। আশা ছিল তাদের সন্তানদের অর্থাৎ লেখাগুলোর জন্য যোগ্য মঞ্চ তৈরি করতে পাবেন তাঁরা।
প্রচুর অভিজ্ঞ লেখক-লেখিকাদের পাশাপাশি, নতুন কলমও সংযোজন হয়েছে এবারের বাংলারটাইমসঅফনর্থ.ইন -এর পুজো সংখ্যা – ‘উমা’

অধ্যাপক ডঃ রত্নকীর্তি রায় জানান, “খুব ভালো প্রয়াস, ভালো লাগলো, আগামীতে বাংলারটাইমসঅফনর্থ -এর উন্নতি হোক এই কামনা করি।”

বিশিষ্ট শিক্ষক ও কবি, শ্রী উদয় সাহার মতে, “বিশ্বের একটি অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয় বাংলা সাহিত্য।আর বাংলা সাহিত্যের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত উৎসব।সেই উৎসবের মরসুমে টাইমস্ অফ নর্থ -এর উদ্যোগে প্রকাশিত শারদীয়া সংখ্যা “উমা” নিঃসন্দেহে একটি নজরকাড়া ঝাচকচকে রুচিশীল নিবেদন। দৃষ্টিনন্দন অবশ্যই; সেইসাথে মেধাবী সম্পাদনা। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ এক বর্ণময় প্ল্যাটফর্ম। অনেক শুভেচ্ছা টাইমস্ অফ্ নর্থ।”

বিশিষ্ট শিক্ষক শ্রী সুকান্ত সরকার জানান, “লেখা দেওয়ার পর ছাপার অক্ষরে না দেওয়া পর্যন্ত একটি অস্বস্তি থেকেই যায়, উৎকণ্ঠাও থাকে বৈকি। ছাত্র যখন কাগজের দায়িত্বে আর ওর যখন আবদার ওঠে লেখা দেবার দায়িত্ব বাড়ে। যদিও আমি লেখক নই। ফেসবুকে দুই চারটে পোস্ট দিয়ে লেখক হওয়া যায় না। মনে করি। নির্ধারিত সময়ে কাল হাতে এল এই ওয়েব ম্যাগাজিনটি, ‘উমা’। ঝকঝকে ছাপা। অনেক গুণী জনের লেখার মাঝে এক কোণে স্থান করে নিয়েছে ‘স্মৃতির ক্যালাইডোস্কোপ’।প্রকাশনা সংস্থা তথা ছাত্রকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

অধ্যাপক সুমন দে’র মতে, “একজন অপেশাদার লেখক হিসাবে, আমি আপনার এবং আপনার কাজের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করছি। এটি আমার কাছে অনেক অর্থবহ এবং মূল্যবান কারণ এই পত্রিকা তাদের সম্ভাব্যতা দেখাতে তাজা লেখকদের সুযোগ দেয়। আমি এই সাফল্যের জন্য সম্পূর্ণ টিমকে অভিনন্দন জানাতে চাই এবং আমার ভাই ভাস্করের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টার জন্য, ওর মঙ্গল ও সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি।”

আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও পাঠক হিসেবে নবাঙ্কুর লিটল ম্যাগাজিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শ্রী সৌরদীপ বর্দ্ধন মতামত দেন, “উওরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত একটি ষান্মাসিক ই-ম্যাগাজিন পড়ছিলাম, নাম “উমা” বাংলারটাইমসঅফনর্থ.ইন -এর শারদ সংখ্যা। কবি ভাস্কর চক্রবর্তী (তবে আমি ভাস্করদাই বলব) পাঠালেন।সত্যি বলতে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমান ম্যাগাজিন প্রকাশিত হলেও বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে ই-ম্যাগের সংখ্যা বোধহয়কম।নিঃসন্দেহে তাদের মাঝে এই ম্যাগটির গুরুত্ব যথেষ্ট। শিলিগুড়ি থেকে প্রকাশিত  ই-ম্যাগটি পড়ার সময়কালেই বেশ টের পাচ্ছিলাম যেন শারদীয়ার এক অদ্ভুত মেজাজে হারিয়ে যাচ্ছি।ছোটগল্প, কবিতা সহযোগে সাজানো সম্ভারে যেন প্রতি পরতে মায়ের আগমন বার্তা, কখনো হিন্দু-মুসলিম ঐক্য কখনো ভালবাসার আগমনকাল আবার কখনো বা উঠে এসেছে পুজোর এই চারটি দিনের হইহুল্লোড়, আড্ডা। বাঙালি বরাবর উৎসবপ্রিয় এবং তার শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রাক্কালে  সংকীর্ণতা কিংবা স্বার্থপরতা নয় বরং মনন হয়ে উঠুক পুষ্ট; দ্বিধা দ্বন্দ কাটিয়ে ‘মানুষ’ আলিঙ্গন করুক আরেকজন ‘মানুষকে’, কলম হয়ে উঠুক শাণিত হাতিয়ার। আর এভাবেই এগিয়ে আসুক সাহিত্য,আরও অনেক এগোক ভাস্করদার সম্পাদনায় এই ই-ম্যাগটি।আমার শুভেচ্ছা রইল।”

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!