‘আমার বাবা আর ফিরে এলো না’: ইসলামপুরের মৃত রাজেশের মা
দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ২১ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮: বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ইসলামপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাজেশ সরকারের পুলিশের গুলিতে মৃত্যুকে কেন্দ্র গভীর শোকের ছায়া দারিভিট এলাকায়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গের সামনে শোকে বিধস্ত রাজেশ সরকারের মা ঝর্ণাদেবী বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন আর বলছিলেন “আমার বাবা আর ফিরে এলো না”। রাজেশ সরকার এলাকায় রাজা নামে পরিচিত। বোন টুম্পা সরকার দারিভিট হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। গতকালের সংঘর্ষে টুম্পা আটকে পড়েছিল।
টুম্পাকে পুলিশ মারধর করেছে রাজেশ এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বোনকে বাঁচাতে। বোনকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাজেশ ওরফে রাজা। গতকাল থেকেই কান্নার পাশাপাশি দাদাকে হারানো বোন টুম্পা বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিজেদের মিষ্টির দোকানের সামনেই গুলিবিদ্ধ হয় ইসলামপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তাপস বর্মন। তাপসের বাবা বাদল বর্মন পেশায় একজন মিষ্টি ব্যবসায়ী। দারিভিট স্কুলের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পাঠানো হয়েছিল তাপসকে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না তাপসের। এদিন ভোররাতে দারিভিটের বাড়িতে তাপসের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই কান্নার রোল পড়ে যায়। তাপসের মা মঞ্জু বর্মন বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন আর কাঁদতে কাঁদতে বলছেন “এ ধরনের পুলিশ জীবনে দেখেননি”। দুই যুবকের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)