কেরালায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ধুপগুড়ির যুবকের
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ৩রা জুলাই, ২০১৮: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ধুপগুড়ি ব্লকের এক যুবকের। মৃতের নাম হামিদুল ইসলাম (৩০)। তিনি ধুপগুড়ির বারোঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, পেশায় শ্রমিক হামিদুল ত্রিবান্দাম এলাকায় কাজ করতেন একটি পাথরের কোম্পানিতে। সেখানে পাহাড় ভেঙ্গে ট্রাক্টরে করে পাথর নিয়ে আসার সময় শনিবার সকাল ৮ টা নাগাদ ট্রাক্টর পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু গাড়িতে থাকা শ্রমিক হামিদুলের। স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে এই এলাকার হাসপাতালে।এরপর বেলা ১১ টা নাগাদ হামিদুলের বাড়িতে খবর পৌছায়।পরিবারের লোক খবর পেয়ে শোকে পাথর হয়ে যায়।হামিদুল গত ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে এই কোম্পানির কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।পরিবারের একমাত্র উর্পাজনকারী হামিদুল স্ত্রী, পুত্র, কন্যা সহ বৃদ্ধা বাবা,মা এবং বিকলাঙ্গ ভাইয়ের সংসার চালাচ্ছিলেন কোনোক্রমে। তবে শনিবার সকালের ঘটনা কেড়ে নিয়েছে পরিবারের ভরসার এই ব্যক্তিকে। গ্রামের লোকজন খবর শুনে একের পর এক বাড়িতে আসছেন, খোজও নিচ্ছেন। শনিবার সকালে মৃত্যুর পর দেহ ময়নাতদন্ত করে রবিবার থেকে তার বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন এই পাথর কোম্পানী কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বিমান পথে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবনদরে এসে পৌছায় হামিদুলের দেহ। সেখান থেকে গাড়িতে তার দেহ নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। হামিদুলের বৃদ্ধা বাবা, মা ছাড়াও স্ত্রী রুনা লায়লা এবং ৭ বছরের ছেলে রেহান এবং ৫ বছরের মেয়ে রেশমি ও গাছ থেকে পড়ে গিয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়া ভাই রহিবুলকে নিয়ে সংসার অনটনের মধ্যেই কাটছিল। তাই পরিবারের হাল ফেরাতে ভিনরাজ্যে পাহাড় ভাঙ্গার পর পাথর ট্রাক্টরে তোলা নাম কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে জানান হামিদুলে কাকাতো ভাই ফজলে রহমান। এদিন সন্ধ্যায় গ্রামে হামিদুলের দেহ এসে পৌছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে।
ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)