টানা বৃষ্টিতে ধুপগুড়িতে বেহাল ব্লকের একমাত্র কৃষি নির্ভর বৃহৎবাজার

সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, ধুপগুড়ি, ৩রা জুলাই, ২০১৮: টানা বৃষ্টিতে বেহাল ব্লকের একমাত্র কৃষি নির্ভর বৃহৎবাজার। শনিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ধুপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়লেও সোমবার রাত পর্যন্ত বাজারের অবস্থা দেখে খানিকটা স্বস্তি মিলেছিল বছরভর কৃষিকাজ করে আসা লোকগুলির। কারন মঙ্গলবার সকালে এই ধুপগুড়ি সুপার মার্কেটে ছিল হাটের দিন।এই হাট উত্তরবঙ্গে বৃহৎ হাট গুলির মধ্যে একটি। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য গুলি যেমন আসাম, মেঘালয় রাজ্য এবং শিলিগুড়ি কলকাতা পর্যন্ত এই হাটের থেকে কাঁচা মাল, সব্জি, লঙ্কা, রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়াও এই বাজারে আসা কৃষকরা কাঁচামাল বিক্রী করে তাদের সংসারের প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে ঘরে ফেরেন। তবে, সোমবার রাতভর বৃষ্টি এবং মঙ্গলবার সকালের বৃষ্টি এদিনের বাজারের রাশ টানে। বাজারে থাকা এক হাটু জল ভেঙ্গে আসার বিপর্যয় এড়াতে জনশুন্য ছিল বাজার। যে বাজারের হাটে প্রায় লক্ষাধিক জন সমাগম হয়, সেখানে এদিন জন সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। যার ফলে বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় এদিন ব্যবসায়ীদের। শুধু তাই নয় এদিন বাজার চত্বরে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জেরে হয়রান হতে হয় ব্যবসায়ীদেরকেও।

নিকাশি নালার উপর বাঁশের মাচা করে দোকান করা লোকগুলোকে এক প্রকার জলে বসেই দোকান সামলাতে দেখা যায়। বাজারের রাস্তা  অস্থায়ী নদীর রুপ নেয়। দোকানদার এবং ক্রেতাদেরকে এদিন জলে দাঁড়িয়ে ব্যবসা সারতে দেখা যায়। বেহাল এই অবস্থায় মার্কেট চত্বরে দেখা দেয় জলকষ্ট। পানীয় জলের কল থাকলেও তার গলা পর্যন্ত নিকাশির জল।আর সেই জলেই বোতল ভরে জল খেতে হচ্ছে। গামছার পসরা নিয়ে বসা এক দোকানী এদিন বলেন,বাজারে সব জায়গায় জল। কোথায় বসব তার উপায় নেই। তাই জলের উপর বাঁশের মাচা দিয়ে দোকান করতে হচ্ছে।প্রচুর সামগ্রী জলে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও লোকজন অনেক কম,ব্যবসার বাজার মন্দা।এক দর্জি জলের উপর সেলাই মেশিন বসিয়ে কাজ করতে করতে বলেন,উপায় নেই। হাটে হাটে মেশিন নিয়ে বসে কাজ করতে হয়।আর তা দিয়েই সংসার চলে।কি করব মাথায় ছাতা নিয়ে বসেই কাজ চালাচ্ছি।

ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!