বানারহাটে হাতির হানায় মৃত এক মহিলা, জখম এক শিশু, ক্ষুব্ধ বাশিন্দারা
অঙ্কিতা সেন (টী.এন.আই বানারহাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, বানারহাট, ১৬ই জুন, ২০১৮: এলাকায় হাতির হানার ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বনদফতরে খবর দিলেও তারা হাতির হানা রোখার বিষয়ে উদাসীন মনভাব দেখাচ্ছিলেন। অবশেষ গ্রামবাসীদের এই আশাংকাই সত্য হল। শুক্রবার গভীর রাতে বানারহাটে হাতির হানায় মৃত হল এক মহিলার, জখম আরোও এক শিশু, মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বাসিন্দাদের। ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট থানার অন্তর্গত নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাষা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের ধূমপাড়া গ্রামে। লাগাতার হাতির হানার ঘটনা ঘটলেও বন-দফতরে খবর দেওয়া হলেও বনকর্মীদের দেখা মেলে না এই অভিযোগে শনিবার সকালে স্থানীয় বাশিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বানারহাট থানার পুলিশকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সংবাদ মাধ্যম কে স্থানীয়রা জানান শনিবার রাতেও গ্রামে তিন-চারটি হাতির একটি দল ঢোকে, সেই সময় লোডশেডিং চলছিল।
গ্রামের বাশিন্দা পাবিমায়া কামি (৫৬) কে তার বাড়ির উঠোনেই দাঁতাল হাতি পিষে দেয়, তার সাথে থাকা চার বছর বয়সী নাতনি অনুষ্কা কামি হাতির হানায় গুরুতর জখম হন। বর্তমানে জখম অবস্থায় শিশুটি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এত কিছু হওয়া সত্ত্বেও সকাল পর্যন্ত বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোয় এলাকার বাসিন্দারা ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বাশিন্দাদের ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। তবে এদিন দুপুর নাগাদ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতার পরিবার কে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গরুমারা ডিভিশন এর ডি.এফ.ও শ্রীমতী নিশা গোস্বামী জানান “বনকর্মীরা হাতির হানার খবর পেলেও ঘটনাস্থলে যান না এই অভিযোগ সঠিক নয়”। তিনি আরও বলেন হাতির হানা রুখতে নজরদারি আরোও বাড়ানো হয়েছে।
ছবি: অঙ্কিতা সেন ও সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)