চোপড়ায় শাসকদল তৃণমূলের তান্ডবে ঘরছাড়া বিরোধী প্রার্থীরা
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই চোপড়া ২৮শে এপ্রিল, ২০১৮: তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনীর দাপটে ঘরছাড়া বিরোধী প্রার্থীরা। পাশাপাশি বিরোধীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারে তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। এমনই সব অভিযোগে সরগরম উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের রাজনৈতিক মহল। যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী তৃণমূলের। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘিরনীগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রবিন দাসের বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রবিন দাসের স্ত্রী মামনি দাস ওই অঞ্চলের কংগ্রেস প্রার্থী। তৃণমূলের ভয়ে মনোনয়ন দাখিলের পর থেকেই মামনি দাস ও তাঁর স্বামী ঘরছাড়া। বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বলে অভিযোগ। রবিন দাসের দাদা ও বৌদি বাড়িতে থাকলেও তাঁদের সামনেই বোমা ফাটিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী রবিন দাস ও মামনি দাসের খোঁজ করছিল বলে জানা গিয়েছে। রাতে খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও ঘটনায় কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। সম্প্রতি মাঝিয়ালি অঞ্চলের বিজেপি প্রার্থী জিতেন রায় মনোনয়ন প্রত্যাহারে অরাজি হওয়ায় তাঁর ১২ বিঘা জমিতে থাকা ভুট্টার ফসল তৃণমূলীরা কেটে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। রবিন দাসের বৌদি সুস্মিতা দাস বলেন, তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বাড়িতে ঢুকেই ৫/৬ টা বোমা ফাটায়। আমাদের লক্ষ্য করেও একটি বোমা ফাটায়। আমাদের সামনেই আমার দেওর ও জা য়ের খোঁজ করতে থাকে। ওদের না পেয়ে সব ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে সব নিয়ে গিয়েছে। দাসপাড়া মন্ডল সভাপতি বিজেপির অসীম বর্মন বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারনে শুধু বিজেপি নয় সব বিরোধীদলের প্রার্থীরা কেউই বাড়িতে থাকছেন না। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকেই সবাই এলাকাছাড়া। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হলে প্রচার সম্ভব নয়। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহকারী সভাপতি তৃণমূলের জাকির আবেদিন বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, আমাদের সরকারের উন্নয়ন দেখে ওরা নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে ঘাবড়ে গিয়ে এধরণের অপবাদ দিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করতে চাইছে। মানুষ সব বুঝছে, মানুষের রায় আমাদের সাথেই আছে ও থাকবে।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)