প্রাকৃতিক বাসভূমি রদবদল, মেখলীগঞ্জে লোকালয়ে ময়ূর, উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা
স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ময়নাগুরি ১৯ই এপ্রিল, ২০১৮: প্রকৃতির সাজানো আবাসস্থলে জীবজগতের স্বাভাবিক বাসস্থান আজকের প্রকৃতি পরিবেশে মোটেই উপযুক্ত নয় তার নিখুঁত চিত্র দেখা যাচ্ছে সর্বত্র৷ এক দিকে জলবায়ূগত আবহাওয়ার পরিবতন, অন্যদিকে, মানুষ তার অবিবেচনা প্রসূত কাজের দায়ে পাল্টে যাচ্ছে পরিবেশের আদর্শ অবস্থান৷ যার ফলেই চরম বিপদসীমায় প্রানীজগত৷ গত একটা বছরের পরিসংখাননে দেখা যাচ্ছে নিজেদের প্রকৃতিক বাসভূমি বা বস্তুতান্ত্রিক সীমানার বাইরে অনেক প্রজাতির প্রাণী তারা বাধ্য হচ্ছে অন্য পরিবেশে খাদ্য বা বাসস্থানের লোভে পাড়ি দিতে। এই ভাবে প্রকৃতির কোলে একটা পরিবেশগত প্রতিদ্বন্ধ তৈরি হচ্ছে৷ উত্তরবঙ্গের সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে হাতি, বাঘ, বাইসন প্রভৃতি বন্য প্রাণী লোকালয়ে আসছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খাবারের সন্ধানেই ঘন জঙ্গল থেকে অন্যতর আসছে এই সব বন্য প্রাণী৷ প্রাণীজগতের ক্ষেত্রে যেমন হলেও বড় পারেনি অন্যান্য প্রজাতি,বিরল প্রজাতির পেঁচা, ময়ূর এবং বিভিন্ন পক্ষী প্রজাতি এখন লোকালয়ের পরিবেশে আসছেন, বিশেষজ্ঞদের মতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্যের চাহিদা মেটাতেই এই অনুপ্রবেশ৷ তবে, উন্মুক্ত বাস্তুতন্ত্রে এটা একটা নিয়ম৷ এমনই এক বাস্তুতান্ত্রিক প্রজাতির এক পরিব্রাজন চিত্র দেখা গেলো কুচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জের নিজতরফ এলাকায়৷ উত্তরেবঙ্গের সমতল এলাকায় সাধারণত দেখা যায়না ময়ূর, তাই মেখলীগঞ্জের নিজতরফ থেকে উদ্ধার হওয়া ময়ূরটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত রাখে৷ জানা যায়, গ্রামবাসীরা একটি চাষের জমিতে দেখতে পান ময়ূরটিকে। এরপর ময়ূর দেখার জন্য ছুটে আসেন অয়ন্যান্য গ্রামবাসীরা৷ খবর দেওয়া হয় মেখলীগঞ্জ বন বিভাগ দপ্তরে৷ বনদপ্তরের কর্মীরা অনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে ময়ূরটিকে খাঁচা বন্দী করেন৷ মেখলীগঞ্জ ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস থেকে জানানো হয় – প্রাথমিক ভাবে ময়ূরটিকে চিকিৎসা করে মাথাভাঙ্গা ত্রিকুনিয়ায় ছাড়ার কথা, তবে এখনও পর্যন্ত তা ঠিক হয়নি৷ অন্যদিকে, মেখলীগঞ্জের পরিবেশ প্রেমী আব্দুল কাদেরের অভিযোগ -“আজকের প্রকৃতিক বাসভূমি পরিবর্তন হচেছ, পরিবেশে বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতিগ্রস্ত, তাই বনজঙ্গলের পশুপাখি লোকালয়ে আসছে, আমাদের এবং সরকারকে পরিবেশ বান্ধব হয়ে কাজ করতে হবে”। এর সাথে নিজতরফ নিবাসী শ্রীমতী রূপালি বর্মণ জানিমত “প্রায় অন্য প্রজাতির পাখি এই এলাকায় আসছে, তবে কিছুটা বিরল ময়ূর আমাদের গ্রামে আজ দেখতে পেয়ে আনন্দিত সবাই৷ অন্যদিকে, মেখলীগঞ্জ বনদপ্তরে আধিকারিক শ্রীমতী জ্যোৎস্না সুববা জানান “উদ্ধার করার সময় ময়ূরটি অসুস্থ থাকায় চিকিৎসা করে জঙ্গলে পরে ছেড়ে দেয়া হবে”৷
ছবিঃ স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই)