‘মিশন নির্মল বাংলা’ কে রূপায়িত করতে দক্ষিণ দিনাজপুরে বিশেষ পদক্ষেপ
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই বালুরঘাট, ২১শে ডিসেম্বর ২০১৭: মিশন নির্মল বাংলাকে বিদ্যালয় স্তরে একশ শতাংশ সাফল্য মন্ডিত করতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা করা হয়েছিল দক্ষিন দিনাজপুর জেলাপ্রকল্প আধিকারীক এর দফতর থেকে। উচ্চ বিদ্যালয়গুলির পর, প্রাথমিক-এর মার্কশিট প্রদানেও জুড়ে ছিল নির্মল বাংলার শর্ত। বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে এই মর্মে অবিভাবকরা স্কুলে লিখিত জমা না দিলে প্রদান করা হবেনা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার মার্কশিট। নির্মল বাংলা প্রকল্পকে একশো শতাংশ সার্থক করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশ সম্পুর্ন অনৈতিক বলে দাবী তুলে ছিলেন অনেকেই। হাতে গোনা তিনদিন অর্থাৎ, ২২শে ডিসেম্বর বিদ্যালগুলিতে শিক্ষক অভিভাবক সভার আয়োজন এবং ওই দিন শর্ত সাপেক্ষে মার্কশিট প্রদানের পরিকল্পনা ভুল বলেই ব্যাখ্যা তাদের। বিষয়টি নিয়ে সরব হতে চলেছে এবিপিটিএ – এর শিক্ষকরা। অবশেষে, বুধবার বিশেষ শংসোধনী নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলিকে। যাতে বলা হয়েছে ‘অন্যথায় প্রগতি পএ প্রদান করা হবে না’, এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছ। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রগতি পএ সকলেই পাবে। অভিভাবক দের শুধুমাএ জানতে হবে বাড়িতে শৌচালয় আছে কিনা, না থাকলে কত দিনের মধ্যে তৈরী করবে। জানা গেছে, দক্ষিন দিনাজপুরে জেলার ৮ টি ব্লকের ১৭ টি চক্রে রয়েছে ১১৮৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়গুলিতে মঙ্গলবার অর্থাৎ১৯ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা পৌঁছেছে জেলা প্রকল্প আধিকারীক এর দফতর থেকে।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রগতিপএ প্রদানের সময় ছাত্রছাত্রিদের তাদের বাবা অথবা মা এর কাছ থেকে লিখিত আনতে হবে বাড়িতে শৌচালয়রয়েছে। অন্যথায় প্রগতিপএ প্রদান করা হবে না। এনিয়ে আগামি ২২শে ডিসেম্বর বিদ্যালগুলিতে শিক্ষক অভিভাবক সভার আয়োজন করতে হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটর, প্যারাটিচার বা প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা। সভাথেকে স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে অভিভাবক অভিভাবিকাদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু, শৌচাগার না থাকলে প্রগতি পএ প্রদান করা হবে না, এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। অবশেষে ,এবিষয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে জেলাপ্রকল্প আধিকারীক এর দফতর থেকে। এবিষয়ে জেলা প্রকল্প আধিকারীক বিমল কৃষ্ণ গায়েন জানান নতুন নির্দেশিকা সমস্ত বিদ্যালয় গুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গঙ্গারামপুর উওর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুনীল কুমার দাস জানান, গত মঙ্গলবার যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল তাতে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা উওর চক্রের অন্তর্গত সমস্ত বিদ্যালয় গুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে নির্মল জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হবে। এনিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত সকলকে শৌচাগার নির্মাণের কাজে নামানো।