আপ তিস্তা তোরসা এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় দুষ্কৃতীদের হামলা, চুরি যায় মোবাইল
অঙ্কিতা সেন (টী.এন.আই) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই কুমেদপুর ২৪শে মার্চ ২০১৮: আবার রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো পশ্চিমবঙ্গে। এবার দুষ্কৃতীদের শিকার হলেন আপ ১৩১৪১ তিস্তা তোরসা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ঘটনার দিন গত রাতে প্রায় রাত ১০:৩০ নাগাদ। মালদা থেকে ওঠে মালদার পুড়াটুলি সদরঘাটের বাসিন্দা জ্যোতির্ময় হালদার, নন্দিনী ঘোষ ও নন্দিনীর বাবা। তাদের S4 কামরায় রিজার্ভ সিট ছিল। S4 কামরায় উঠে তারা দেখেন তাদের সিট দখল করে কয়েক জন যুবক বসে আছে। সেই যুবকদের উঠে যেতে বললে লাগে গোল। ট্রেন তখন চলছে তার মধ্যেই চলছে গণ্ডগোল।
ট্রেন যখন ভালুকা স্টেশানে পৌছায় অতর্কিতে জনা ৩০ বহিরাগতরা ঝাপিয়ে পরে জ্যোতির্ময় হালদার, নন্দিনী ঘোষ ও নন্দিনীর বাবার ওপর। ধস্তাধস্তিতে ননদিনী এবং জ্যোতির্ময় দুজনেরই চোট লাগে। জ্যোতির্ময়ের মোবাইল ফোনটিও খোয়া গেছে। এরপর বাকি সহযাত্রীরা সকলে মিলে তাদের প্রতিরোধ করাতে পিছু হটতে হয় বহিরাগতদের। তারা কোচ থেকে নেমে গেলেও বাইরে বেরিয়েই ইট, পাথরের বৃষ্টি শুরু করে। সারা S4 কামরায় কামরায় চোট লাগে। আশ্চর্যের বিষয় হল যখন দরকার ছিল তখন কোন জি.আর.পি বা টিকিট চেকারের দেখা মেলেনি ট্রেনের কামরায়। এরপর হরিশচন্দ্রপুরে ট্রেন দাড়ানোর পর সেখানে গোটা চারেক পুলিশ এসেছিল। তাদের সাথে কথা বলতে বলতেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। এরপর যাত্রীরা হরিশচন্দ্রপুরে চেন টেনে ট্রেন দাড় করিয়ে স্টেশান ম্যানেজার এর কাছে লিখিত অভিযোগ করে। পরে ট্রেন এন.জে.পি তে পৌঁছালে এন.জে.পি ষ্টেশনেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ছবিঃ অঙ্কিতা সেন (টি.এন.আই)