চোপড়ার ভারত-বাংলা সীমান্ত এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বিএসএফের উদ্যোগ
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই চোপড়া ২৪শে মার্চ ২০১৮: ভারত-বাংলা সীমান্তের বেহাল চিকিৎসা পরিষেবাকে দেখে নিজেরাই স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ করলো বিএসএফ। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার হাফতিয়াগছ বর্ডার আউট পোস্টে বিএসএফের ৫১ নম্বর ব্যাটালিয়ন আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে গ্রামবাসীদের ভিড় উপচে পরে। জানা গিয়েছে, চোপড়া ব্লকের ভারত-বাংলা সীমান্ত হাফতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও নেই। গ্রামবাসীদের চোপড়ায় দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্াল কলেজ ও হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। তাই বিএসএফ এদিন একটি স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করে। পাশাপাশি শিবিরে পরীক্ষা করানো রোগীদের মধ্যে বিনামুলে্এ ওষুধ সরবরাহ করে বিএসএফ। এছাড়াও আপাতকালীন পরিস্থিতিতে মুমুর্ষ রোগীদের নিকটবর্তী হাযপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌছাতে তুলসি বর্ডার আউট পোস্টে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়েছে। এদিনের শিবিরে হাফতিয়াগছ, বরবিল্লা, ভানুগছ, বনদারজলি, মুড়িখাওয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন বিএসএফের ৫১ নম্বর ব্যাটালিয়নের সিনিয়র মেডিক্াল অফিসার হিমাদ্রি বিশ্বাস। পাশাপাশি শিলিগুড়ি গ্রেটার লায়ন্স আই হাসপাতালের চিকিৎসক বাসিন্দাদের চক্ষু পরীক্ষা করেন। বিনামুলে্এ প্রয়োজন অনুসারে চশমাও প্রদান করা হয়। এদিনের শিবিরে বিএসএফের ৫১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট কে উমেশ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট শ্রী বসন্ত কুমার ও স্থানীয় তৃনমুল নেতা শ্রী সুদীপ্ত বোস সহ অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফের ৫১ নম্বর ব্যাটালিয়ন সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডঃ হিমাদ্রি বিশ্বাস বলেন, গ্রামবাসীদের মধ্যে অধিকাংশ অপুষ্টি জনিত রোগের প্রভাবের পাশাপাশি ব্লাড প্রেসার, ডায়বেটিস, সিজনাল সমস্যা বেশি দেখা গিয়েছে। জওয়ানদের চিকিৎসার পাশাপাশি সীমান্তের গ্রামবাসীদের চিকিৎসা করার সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি। কমান্ডান্ট শ্রী কে. উমেশ বলেন, হাফতিয়াগছ এলাকার বাসিন্দাদের অনেক দুরে গিয়ে তাদের চিকিৎসা করাতে হয়। তা খুবই খরচ সাপেক্ষ। তাই আমাদের বিওপিতেই স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করেছি। সীমান্তের বাসিন্দাদের জন্য আমরা একটি অ্যাম্বুল্যান্সও রেখেছি। বাসিন্দাদের পাশে বিএসএফ সব সময় আছে। স্থানীয় তৃনমুল নেতা সুদীপ্ত বোস বলেন, আমাদের এখানে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা নেই। কিছু হলেই চোপড়ায় দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্াল কলেজ ও হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। এক হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া লাগে। গরীবদের ভরসা একমাত্র বিএসএফ। তাই বিএসএফের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)