মেখলিগঞ্জে শ্লীলতাহানি রুখতে পুলিশি অভিযানে আটক প্রেম যুগল
স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮: প্রেম পর্বের প্রকাশ্য দৃশ্য শ্লীলতাহানির শিরোনামে এসে নড়েচড়ে বসলো সাধরণ মানুষ সহ পুলিশ প্রশাসন৷ কোচবিহার জেলা জুড়ে আলোড়ন করা প্রেম পর্বের ভাইরাল ফোকাস এবার নূতন মোড় নিলো আবার। উল্লেখ্য যে, কোচবিহারের চ্যাংরাবান্দা হাই স্কুলের চত্তরে শ্লীলতাহানি ঘটনা অবিচলিত ভূকম্পে কাপছে কোচবিহার জেলা৷ গোটা রাজ্য সহ দেশ জুড়ে প্রকাশ হয় প্রেম পর্বের সাথে স্কুল বস্ত্র পড়ে শ্লীলতাহানির খবর৷ এখনও পর্যন্ত ঘটনার সত্যতা প্রশাসন সহ সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেনি৷ উপযুক্ত প্রমাণ নেই। আদৌ কি শ্লীলতাহানি, অনেকের দাবি এটা প্রেম পর্ব, শ্লীলতাহানি নয়। অনেকেই জানান এটা শ্লীলতাহানি৷ তথ্যে ধরা পড়ে অন্য চিত্র। নেহাত একটি অপ্রাপ্ত বয়সের প্রেম ছিল এই ঘটনায়৷ তবে স্কুল ড্রেস পড়ে এমন ছবি সভ্য সমাজজীবন শ্লীলতাহানির টান দিতে প্রস্তত বলে জানা যায়, তাই ঘটনা যাই হোক। এমন চিত্র বিরল৷ এই ঘটনার রেশ পড়লো দুই প্রেম যুগলের কাছে৷ জানা যায় – কড়া সতর্কবার্তা পায় পুলিশ৷ আজ সাধরণ স্থানীয় মানুষের অভিযোগে এবং পুলিশের অভিযানে মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্দা এলাকায় আটক হয় ওই যুবক ও সেই নাবালিকা মেয়ে। স্থানীয় বেক্তিরা জানান – অসভ্য আচরণ করার দায়ে আটক করা হয় ওই দুজনকে। পরে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়৷ অন্যদিকে, জানা যায় চ্যাংরাবান্ধা হাই স্কুলে প্রেমে পর্বের শ্লীলতাহানি ভিডিও টিভির পর্দায় ফাস হওয়ার পর আজ চ্যাংরাবান্ধা জুনিয়ার গার্লস স্কুল চত্তর থেকে এক যুবক কে মেখলিগঞ্জ পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং মেয়েটি তার ছাত্রী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু চ্যাংরাবান্ধা হাই স্কুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানিয় বাসিন্দারা কিছুতেই মানতে নারাজ। স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি মেয়িটি কে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় এবং ছেলে নিজেকে ক্যারাটে শিক্ষক বলে পরিচয় দিলেও জনতা মানতে নারাজ। মেখলিগঞ্জ পুলিশ প্রশানের হাতে তুলে দিলে সেই যুবককে মেখলিগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ছবিঃ স্বপন রায় বীর (টি.এন.আই)