ফের মাদকদ্রব্য পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লো ২ চোরাপাচারকারী
জিৎ সরকার (টি.এন.আই শিলিগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, শিলিগুড়ি, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২১: পুলিশি তৎপরতায় বার বার মাদকদ্রব্য পাচারকারীদের ধরা হলেও কমছে না মাদকদ্রব্যের চোরাপাচার, আবারও এমনটাই দেখা গেলো ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত ঘোষপুকুর ফাঁড়ির সামনে। পুলিশি তৎপরতায় আবারও ধরা পড়লো ৬২১ লিটার মদ। গতকাল গোপন সুত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত ঘোষপুকুর ফাড়ির পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের নম্বর প্লেট বসানো এক টাটা এসিই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গবাদিপশুর খাওয়ারের বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা ৬২১ লিটার মদের খোজ পায় ঘোষপুকুর ফাড়ির পুলিশ। উক্ত মদের কোনোরকম সরকারি নথি না থাকায় মদগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে গাড়ির চালক ও তার সহকারী চালককে আটক করে ফাঁসিদেওয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃতদের নাম সন্দীপ মাহাতো ও মিনাজুল রহমান, তারা শিলিগুড়ির ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশি সুত্রে জানা যায়, এই দুই চোরা পাচারকারী এদিন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বিহারের পূর্ণিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ঘোষপুকুর টোল প্লাজার সামনে চেকিং চলাকালীন পুলিশ তাদের আটক করে এবং অবৈধ মদ উদ্ধার করে। যানা গিয়েছে, মোট ৩৭৫ মি.লি. পরিমানের ৫৭টি কার্টুনে ভরা ১৬৫৭টি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। সরকারি কোনো বৈধ নথি না থাকায় বেঙ্গল এক্সাইস অ্যাক্টের অধীনে মামলা করা হয়েছে এই দুই চোরাপাচারকারীর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে এই দুই অভিযুক্তকে শিলিগুড়িতে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঘোষপুকুর ফাঁড়ির ইনচার্জ অনির্বান নায়েক জানান, শিলিগুড়ি থেকে একটি গাড়ির মাধ্যমে বিহারে মদ পাঠানো হচ্ছে বলে ওনারা খবর পান, এরপর তল্লাশি চালিয়ে গবাদিপশুর খাওয়ার নিয়ে যাওয়ার একটি পিকাপ গাড়ির ভেতর তারা মদের কার্টুনগুলি দেখতে পান এবং আটক করে তাদের ফাঁসিদেওয়া থানায় পাঠানো হয়।
ছবি: জিৎ সরকার (টি.এন.আই)