করোনার থাবায় বক্সায় পর্যটন মুখ থুবড়ে পড়েছে
অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ফালাকাটা, ২৪ই জুন, ২০২১: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তলানিতে পর্যটন ব্যবসা,চরম সংকটে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা পাহাড়ের এগারোটি গ্ৰামের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ পর্যটকরাই তাদের আয়ের উৎস, যা বর্তমানে বিপর্যস্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৮০০ ফুট উপরে স্থিত আলিপুরদুয়ার জেলার ছবির সুন্দর জায়গা বক্সা পাহাড়। প্রতিবছর দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বক্সা পাহাড়ে প্রচুর পর্যটকদের আগমন হয়। বক্সাপাহাড়ের চুনাভাটি, বক্সা ফোর্ট, লাপচাখা, আদমা পুকুড়িতে সারাবছর কম বেশি পর্যটক আসে। আর এই বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দাদের প্রধান পেশা পর্যটন। বক্সা পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পর্যটকদের জন্য হোম স্টে। প্রতি বছর ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর এই তিনমাস জঙ্গলে প্রবেশ বন্ধ থাকায় এই সময় পর্যটকদের আগমন হয়না বক্সা পাহাড়ে। বছরের বাকি নয় মাস এই বক্সা পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক আসে এবং এই বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দারা প্রায় সবাই প্রত্যন্ত বা পরোক্ষভাবে পর্যটন ব্যবসা সাথে জড়িত। এদের অন্য কোনো আয়ের উৎস নেই। কিন্ত করোনা জেরে বক্সা পাহাড়ে আসছেনা পর্যটক ফলতঃ একমাত্র আয়ের উৎস বন্ধের মুখে এর ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে বক্সা পাহাড় বাসী।
বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দারা জানান পরিস্থিতি ঠিক থাকলে দিনে দশ হাজার টাকার মত দোকানে বিক্রি হয় যখন পর্যটক আসে কিন্ত এখন পর্যটক শূন্য বক্সা পাহাড় এখন দিনে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়না । পাহাড় বাসী জানান আমাদের এখানকার ব্যবসা পর্যটকদের উপর নির্ভর অন্য কোনো আয়ের উৎস নেই। বিগত তিন মাসের বেশি সময় থেকে পর্যটক শূন্য পাহাড় এখন আর আগামী তিনমাস জঙ্গল বন্ধ থাকবে আর এই সময় পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে এর আগামী আরো তিন মাস আসবে না কোনো পর্যটক। এর ফলে আমলা চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছি। কোথাও থেকে কোনো কিছু ত্রাণ ও মিলছেনা বলে জানান বক্সা বাসী।
বক্সা পাহাড়ের এক হোমস্টে মালিক জানান পর্যটক নেই আয়ের পথ সব বন্ধ আমরা বর্তমানে খুব বিপাকে পড়েছি।
ছবি: অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)