লুপ্তপ্রায় ভাষার কর্মসূচি দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন শুরু হল
সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা বালুরঘাট
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯: লুপ্তপ্রায় ভাষার লোক সাংস্কৃতিক কর্মসূচি দিয়েই শুরু হলো তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর টাউন লাইব্রেরী হলে আয়োজিত ওই সন্ধ্যায় এলাকার প্রাচীন লোক সংস্কৃতি নটুয়া পালাকে তুলে ধরেন নিত্যানন্দ সম্প্রদায়ের শিল্পীরা। বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন ডঃ বাসুদেব রায়। শ্রুতিমঞ্জিল আবৃত্তি সংস্থার তরফে ছিল ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে সমবেত আবৃত্তি। আবৃত্তির সঙ্গে সংগীত আবহে ছিলেন শ্রেয়শ্রী সাহা। এরপর সঞ্চিতা সিনহার নির্দেশনায় খুদেদের অসাধারণ নৃত্যায়ন মন মাতালো দর্শকদের। স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন মৌসুমী নন্দী, নিশিকান্ত সিনহা, ভবেশ দাস, অরুনেশ্বর দাস, আবীরা সেনগুপ্ত, শিপ্রা রায়। আবৃত্তি করেন শ্রেয়সী দাস, স্বপ্ন উড়ানের পক্ষ থেকে ছিল আইভি বিশ্বাসের নির্দেশনায় সমবেত নৃত্যানুষ্ঠান। সংগীতে ছিলেন সুজন মল্লিক।
মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক পরশ কুমার সিং জানান, এলাকার শিল্পী ও লেখক কলা কুশলীদের নিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিম মোল্লা, অনামিত্র সোম, খুরশেদ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মিঠুন দত্ত। অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে যেখানে মানুষ ধীরে ধীরে বই পড়ার অভ্যাস থেকে সরে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময় বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য সংস্কৃতির বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে অবিরাম কাজ করে চলেছে চোপড়ার সূর্যমুখী সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। প্রতি মাসে একটি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সাহিত্য সভার মাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে নবীন ও প্রবীণ প্রজন্মকে এক সূত্রে বাঁধছে সূর্যমুখী, তার সূত্র ধরে গত একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও প্রথম পত্রিকা প্রকাশ পেল চোপড়ার লাইব্রেরীতে। পত্রিকা উদ্বোধন করেন এলাকার প্রবীণ লোকশিল্পী মাটুল রাম সিংহ ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা কঞ্চি কলম লেখনীর স্রষ্টা দেবেন্দ্রনাথ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও সাহিত্যিক সুশীল বর্মন, চোপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত বসাক প্রমুখ। প্রযুক্তির এই যুগে সকলের হাতে মোবাইল ও ল্যাপটপ, তার জন্যই প্রথম পত্রিকাটি ই-ম্যাগাজিন রূপে প্রকাশ করার কারণ বলে জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে, যাতে নতুন প্রজন্মের সবাই হাতের মোবাইল ফোনেই পেয়ে যায় পত্রিকাটি। পত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি এদিন একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়।
ছবি: সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই)