ফালাকাটায় তৃনমূলের সভায় অভিষেকের ব্রিগেডের জন্য ডাক
অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই ফালাকাটা) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ফালাকাটা, ৭ই জানুয়ারি, ২০১৯: আগামী ১৯ জানুয়ারি মমতা ব্যানার্জীর ব্রিগেডের জনসভা কে সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষে ও আগামী লোকসভা নির্বাচনে জেলার যুবসমাজ কে চাঙ্গা করতে ফালাকাটা টাউন ক্লাব ময়দানে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি জনসভা করলেন এই জনসভায় দেড় লক্ষাধিক জনসমাগম হয়। উপস্তিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার তৃণমূলের যুব নেতা সহ সকল নেতৃত্ব গণ। ছিলেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ। এই মঞ্চে আলিপুরদুয়ারের এবারের বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির প্রার্থী কুশল চ্যাটার্জি অভিষেক ব্যানার্জির হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা গ্রহন করে তৃণমূলে যোগ দিলেন। বাম আমলে কুশল চ্যাটার্জির বাবা ভীষ্ম চ্যাটার্জী কুমারগ্রামের কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। এবার কুশল চ্যাটার্জির তৃণমূলে যোগ বিজেপি বড় ধাক্কা খেল বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। এদিনের ফালাকাটার অভিষেক ব্যানার্জি জনসভায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৪২ শে ৪২ ডাক দিলেন। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের সকল কর্মী যাতে জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে নিজনিজ এলাকার উন্নয়ন তুলে ধরে যেমন কণ্যাশ্রী, রূপশ্রী, আপনার বাগানে প্রশাসন, আপনার পঞ্চায়েতে প্রশাসন, সবুজ সাথী, ফালাকাটা সুপার স্পেশালি হাসপাতাল, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পঞ্চায়েতে জনগণের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রভৃতি। আগামী ১৯ জানুয়ারি মমতা ব্যানার্জীর ব্রিগেডের জনসভা কে বিশ্বের দরবারে ঐতিহাসিক জনসভায় পরিণত করার জন্য আহ্বান রাখেন। আগামীতে মমোত ব্যানার্জি দিল্লির মসনদে বসে সুন্দর ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত উপহার দেবে। দিদির নেতৃত্বে একটি ধর্মনিরপে জোট সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই লক্ষে ১৯ জানুয়ারি মমতা ব্যানার্জীর ব্রিগেডের জনসভা দলে দলে যোগ দিয়ে দিদির হাত শক্ত করার আহ্বান জানান। বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে হইছে বাংলা থেকে দার্জিলিং কে আলাদা করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু দিদি সুষ্ঠ পরিষেবা দিয়ে বাংলাকে ভাগ করতে দেয়নি। গত নির্বাচনে বিজেপি পাঁচ রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও চাইছে বাংলার মমতা ব্যানার্জি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোক। দিলীপ ঘোষ বুঝতে পেরেছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলই রাজ্য থেকে ৪২ টি আসন নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে। ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ।
ছবি: অরুনাংশু মৈত্র (টি.এন.আই)