শিলিগুড়িতে এবার পথ কুকুরের কামর খেল কর্পোরেশনের মেয়র-ইন-কাউন্সিল
আর. সুব্রত (টি.এন.আই শিলিগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, শিলিগুড়ি, ৮ই নভেম্বর, ২০১৮: শহর শিলিগুড়ির পথ কুকুর সমস্যা বর্তমানে এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং নিচ্ছে প্রতিদিন। সাধারণত বছরের এই সময়ে পথ কুকুরদের বংশ বৃদ্ধি ঘটে থাকে। শিলিগুড়ি শহরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম বেশি এই সমস্যা বিরাজমান। প্রায়শই এই পথ কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে পথচারী সহ অন্যান্য জীবজন্তু। গতকাল, শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেওয়র-ইন-কাউন্সিলের সদস্য ডঃ শঙ্কর ঘোষ ভারতনগরের রাস্তায় দুটি পথ কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হয়। তিনি ওয়ার্ড অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুটি পথ কুকুর তাকে আক্রমণ করে এবং কামর বসিয়ে দেয়। অতি দ্রুত তিনি হাসপাতালে গিয়ে অ্যান্টি র্যাবিজ ভ্যাক্সিন নেন। শঙ্কর বাবু টি.এন.আই কে জানান যে “নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে পথকুকুরদের প্রজনন ঘটায় এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শুধু শিলিগুড়ি নয়, শহরের আসে পাশের এলাকায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে”। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে ভারতে প্রতি বছর ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার মানুষ পথ কুকুর দ্বারা র্যাবিসে আক্রান্ত হয়। এই সংখ্যা ক্রমবৃদ্ধিমান। মিডিয়া ইন্ডিয়া গ্রুপের (এম.আই.জি)র সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে এই পথ কুকুরের দ্রুত বৃদ্ধির কারন হল খোলা আবর্জনা রাখার প্রচলন। এম.আই.জি’র সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে ভারতে যে শহরে খোলা আবর্জনাহীন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেখানে পথ কুকুরদের বৃদ্ধির হার কমেছে অতি দ্রুত। এর কারন হিসেবে পরিবেশবিদ ডঃ তুলিকা বিশ্বাস টি.এন.আই কে জানায় যে কুকুর মূলত মেথর শ্রেণীর (স্ক্যাভেঞ্জার) জন্তু। পথকুকুররা তাদের খাদ্য এই খোলা আবর্জনা থেকেই পায়। সুতরাং, খোলা আবর্জনা রাখার প্রচলন নিয়ন্ত্রন করলে আপনা থেকেই পথ কুকুরদের বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব। অন্য দিকে, শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের এম.এম.আই.সি ডঃ শঙ্কর ঘোষ টি.এন.আই কে জানান “শিলিগুড়ি এই সমস্যা কে খুব তাড়াতাড়ি দূর করতে গেলে বর্তমানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন, এন.বি.ডি.ডি, পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ইত্যাদি কে এক যোগে কাজ করতে হবে। পথ কুকুরদের জন্যে নির্বীজকরনের নতুন উপায় বার করতে হবে”। তবে শিলিগুড়ি শহরে পথ কুকুরদের কারনে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে তা এক প্রকার বলা যায়।