হেমন্ত জোছনায় বকখালি কবিতা উৎসবে বসেছিল চাঁদের হাট
সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, বকখালি, ২৭শে নভেম্বর, ২০১৮: সমুদ্রবেলা ভূমে দুই বাংলার প্রায় দের শতাধিক কবি সমাবেশে রীতিমতো জমজমাট রাজ্যের সেরা কবিতা উৎসব। সেই বকখালি কবিতা উৎসবে এবার প্রথম পা রাখলেন উত্তরবঙ্গের একাধিক কবি। হেমন্ত জোছনা আকাশের নিচে যেন চাঁদের হাট। এপার বাংলার কবি অরুন কুমার চক্রবর্তী কিংবা ওপার বাংলার কবি রৌনক হোসেন থেকে শুরু করে বেশ নামি দামী কবিরা। উদ্বোধনী পর্বে “আমাদের পরিচয় হোক, আমরা কবিতার লোক” উপস্থিত কবিদের এই দু’পঙক্তি সমবেত উচ্চারণে কবি অরুন কুমার চক্রবর্তীর হাতে উড়লো ফানুস। আহা কি অসাধারণ মুহূর্ত! এদিন পুরুস্কৃত হলেন তিন কবি। বকখালি আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে উত্তরবঙ্গের কবি লক্ষ্মী নন্দী এবার দক্ষিণবঙ্গের বিখ্যাত কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী এবং খ্যাতনামা কবি গৌতম চৌধুরীর সাথে এক মঞ্চে পুরস্কৃত হলেন। লক্ষ্মী নন্দী পেলেন নরোত্তম হালদার স্মৃতি পুরস্কার। অরুণ কুমার চক্রবর্তী পেলেন শক্তি চট্ট্যোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার ও গৌতম চৌধুরী পেলেন কিশোরীমোহন নস্কর স্মৃতি পুরস্কার। চলতি বছরের ১৭ ও ১৮ নভেম্বর বিকাল ৫টা থেকে পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত সমুদ্রতটের মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ এবং ভারতের দেড় শতাধিক কবি উপস্থিত হয়ে ছিলেন। সেখানে সঙ্গীত, আলোচনা, বিতর্ক সমস্ত কিছুই ছিল কবিতার পর্বান্তরে। উত্তরবঙ্গ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের কবি এবং গল্পকার মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস। তিনি আলোচনা এবং কবিতা পাঠের জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন। কবিতা পাঠ করেছেন মুনমুন ভৌমিক দাম। এই অনুষ্ঠনের সূচনা করেন ফানুস আকাশে উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক অরুণ কুমার চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান শেষে বকখালি উৎসবের সভাপতি সৌমিত বসুর কথা অনুযায়ী গোল হয়ে পরস্পর পরস্পরের হাত ধরে আগুনের পরশমণি গান দিয়ে অনুষ্ঠান শেষের সেই অপূর্ব অনুভূতি শোনালেন লক্ষ্মী নন্দী তিনি আরো বললেন বকখালি উৎসব কমিটির মুগ্ধ আতিথেয়তার কথা। সব মিলিয়ে ছড়া, কবিতা, গান ও আলোচনার অজস্র কথকথায় রীতিমতো জমজমাট একটা অনুষ্ঠান হয়ে গেল সমুদ্রভূমে।
ছবি: সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই)