ইসলামপুরের দারিভিট গুলিকাণ্ডের প্রশাসনের ডাকা শান্তি মিটিংএ প্রশাসনই উধাও
দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, ইসলামপুর, ১লা অক্টোবর, ২০১৮: দারিভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটাতে প্রশাসনের ডাকা বৈঠকেই প্রশাসনিক কর্তাদের দেখা মিললো না। এনিয়ে ফের নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে অভিভাবক মহলে। জানা গিয়েছে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশে স্কুল পরিচালন সমিতি সোমবার দারিভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অভিভাবকদের নিয়ে এক বৈঠক ডাকে। সকাল ১১টায় বৈঠক ডাকলেও স্কুল পরিচালন সমিতির চার সদস্য ও অভিভাবকরা হাজির হলেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, ইসলামপুরের এসডিও কেউই হাজির না হওয়ায় কার্যত ভেস্তে যায় প্রশাসনিক বৈঠক। এমনকি স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নিশাকান্ত পালও এদিনের বৈঠকের গরহাজীর ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ পর পরিচালন সমিতির সদস্যরাই অভিভাবকদের সাথে আলোচনা শুরু করলে স্কুল খোলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁদের দুই ছেলের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবী পূরণ হয়নি। দুই ছেলের মরদেহের সৎকার হয়নি। খুনীদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ উল্টে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কিভাবে কার ভরসায় সন্তানদের স্কুলে পাঠাবে। বৈঠকে ডিআই থাকার কথা ছিল। স্কুল খোলার বিষয়ে ডিআইয়ের সামনেই যা বলার অভিভাবকরা বলবে। স্কুল পরিচালন সমিতির তাপস মজুমদার বলেন, ডিআইয়ের নির্দেশেই অভিভাবকদের সাথে বৈঠকের ঘোষণা মাইকে প্রচার করেছিলাম। কিন্তু অভিভাবকরা ও স্কুল পরিচালন সমিতির আমি সহ রিজওয়ান আলম, অরুন পাল, সুকুমার মজুমদার উপস্থিত থাকলেও ডিআই হাজির না হওয়ায় কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না। পরিচালন সমিতির সভাপতি নিশাকান্ত পালও এদিনের বৈঠকে হাজির হননি। ইসলামপুরের এসডিও ও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। ডিআই সুজিত কুমার মাইতি বলেন, আমাকে মুক্তি দেন।
ছবি: দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)