রায়গঞ্জে প্রাথমিক স্কুলের ইলেক্ট্রিক বিল মেটাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
পার্থ চ্যাটার্জি (টি.এন.আই রায়গঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, রায়গঞ্জ, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮: প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির কাছ থেকে বিদ্যুৎ দফতর কমার্শিয়াল হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়ায় সমস্যায় পড়ছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সরকারী কোন অনুদান না থাকায় স্কুল শিক্ষকেরা ব্যাক্তিগত ভাবেই বিদ্যুৎ এর বিল মেটান স্কুলের জন্য। তাদের দাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি থেকে ডোমেস্টিক হারে বিল নেওয়া নিক বিদ্যুৎ দফতর। উল্লেখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে স্কুল চালানোর জন্য কোনরকম অর্থ নেওয়ার সংস্থান নেই। এর ফলে বিদ্যালয়গুলিতে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ এর বিল মেটাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরই। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের জন্য ফ্যান, লাইট কেনা হয় শিক্ষকদের ব্যাক্তিগত অর্থেই। বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে লাইট, ফ্যান, জলের পাম্প বাবদ প্রতিমাসে যে বিল আসে তা শিক্ষকেরা ব্যাক্তিগত ভাবেই প্রদান করে থাকেন। এর উপর কমার্শিয়াল হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়ায় যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ছেন তারা। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায় চৌধুরী বলেন, “স্কুলে মেইনটেইন্স গ্রান্ট বহুদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। তীব্র গরমে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে শিক্ষক মহাশয়েরা ব্যাক্তিগত পয়সায় ফ্যান লাইট কিনছেন। এমনকী স্কুলের জন্য কমার্শিয়াল হারে বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে। অথচ ডোমেষ্টিক হারে বিল নেওয়া হলে সুবিধা হয়। আমাদের দাবী প্রশাসন এবিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিক। তাতে শিক্ষকদের উপর চাপ কমবে”। একই বক্তব্য জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা অমল দাসও। জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের সদস্য ব্যোমকেশ বর্মন বলেন, “প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সব স্কুলেই এই সমস্যা রয়েছে। এসব স্কুল কোন লাভজনক সংস্থা নয়। অতীতে শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন মিটিং এ এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্কুলগুলি থেকে ডোমেস্টিক হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হলে বাড়তি আর্থিক বোঝার হাত থেকে রেহাই মিলবে”। অন্যদিকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত মাইতি বলেন, “ আমি অবশ্যই এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো। সব কিছু খতিয়ে দেখে নিশ্চয়ই সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে”।