বছরের পর বছর বিনা মেরামতিতে সেতু – বাড়ছে দুর্ভোগ, জিনিষের দাম

অরুনাংশু মৈত্র

সরকার পাল্টায় পাল্টায়নি শুধু ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কাঠের সেতু। বন্যার সাথে বয়ে যায় প্রতিশ্রুতির বন্যাও অভিযোগ এলাকা বাসি সহ নিত্য যাত্রীদেরও। কয়েকদিন আগের খনিকের বৃষ্টিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ফালাকাটা – আলিপুরদুয়ার রোডের চর তোর্ষা সেঁতুর ডাইভার্সান মারাত্মকভাবে ড্যামেজ হয়েছে ভেসে গেছে রাস্তা। এর ফলে সময় ও অর্থ দুই-ই অপচয় হচ্ছে কারণ ভারি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সেঁতুতে। পায়ে হেঁটে যাত্রীরা সেঁতু পারাপার করছেনl গাড়ির কর্মীদের অভিযোগ, সেঁতুর ভাঙ্গার কারণে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন মানুষ। এর জেরে তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। উল্যেখ ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চর তোর্সার লোহার সেঁতু বন্যায় ভেসে যায়। এর কয়েক মাস পর ওই ডাইভার্সানটি তৈরি করে প্রশাসন। কিন্তু ২৩ জুন সকালে চর তোর্ষার জলে ধুয়ে যায় ওই ডাইভার্সনের একটি অংশ রাস্তা।

ফালাকাট থেকে যে যাত্রীরা বাস বা ছোট গাড়িতে আলিপুরদুয়ার যান তাঁদের ওই সেঁতুর আগে বালুরঘাট নামক একটি স্থানে নামিয়ে দিচ্ছে গাড়িগুলি। সেখান থেকে সেঁতু পেরিয়ে পায়ে হেঁটে আলিপুরদুয়ারগামী ছোট গাড়িগুলিতে উঠতে হচ্ছে তাঁদের। কুমারগ্রামের বাসিন্দা ভৈরব দাস বলেন, “এখন পায়ে হেঁটে সেঁতু পার হতে হচ্ছে। এর ফলে গাড়ি ভাড়াও বেশি লাগছে।” ফালাকাটার একটি যাত্রীবাহী গাড়ি চালক শিবা রায় বলেন, “সেঁতুর এই সমস্যার কারণে অধিকাংশ যাত্রীরা পুন্ডিবাড়ি হয়ে প্রায় ২৬ কিলোমিটার ঘুরপথে আলিপুরদুয়ার যাচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারের যাত্রীরাও তা-ই করছেন। এতে তাঁদের যাতায়াত খরচ ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। এদিকে এই পথে যাত্রী কমে যাওয়ায় ব্যবসা মার খাচ্ছে আমাদের। দিনের হাজিরাটুকু উঠছে না।” ফালাকাটার ব্যবসায়ীরা জানান, সেঁতুর কারণে মাছ, আনাজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে ঘুরপথে। এর ফলে দাম বেড়ে গিয়েছে জিনিসপত্রের। এদিকে ছোট গাড়ি পারাপার হচ্ছে কিন্তু মেক্সি পার হতে দিচ্ছেনা এনিয়ে শুক্রবার পুলিশের সাথে বচসা হয় গাড়ির কর্মীদের। পরে তারা ফালাকাটার বিডিওকে জানালে বিডি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!