গজলডোবায় পরিদর্শনে এলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র

সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, মালবাজার, ২৭ই জুন, ২০১৮: গজলডোবায় পরিদর্শনে রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সেচ দফতরের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিদর্শনে আসেন। তিনি প্রথমে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ ঘুরে দেখেন। মন্ত্রীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ সহ সেচ দফতরের এবং জল সম্পদ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।ব্যারেজ ঘুরে দেখেই মন্ত্রী ব্যারেজ লাগোয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘ভোরের আলো’ পার্কটি ঘুরে দেখেন। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজের পর তিনি জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে হাওয়া অফিসে বৈঠকে বসেন বেলা ৪ টা নাগাদ।সেচ দফতরের দায়িত্ব হাতে পাবার পর এই প্রথমবার তিনি গজলডোবায় আসলেন। মন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে এদিন গজলডোবা এলাকায় কড়া নিরাপত্তার আয়োজন ছিল। এদিন মন্ত্রী বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমূখি হয়ে বলেন, বিশেষত আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা কিভাবে মোকাবিলা সম্ভব তা দেখার জন্য। বন্যার ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হচ্ছে, কারন বিগত দিনে ভুটান, সিকিম লাগোয়া এলাকায় গুলিতে পাহাড়ের জল ছেড়ে দেওয়ায় এবং সমলতের বৃষ্টির জল পাশাপাশি ব্যারেজের জল ছেড়ে দেওয়ায় বিপর্যয় নেমে এসেছে।

জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারকে গুরুত্ব দেওয়ার কারন হিসেবে সৌমেন বাবু বলেন গত ২২ বছরের ইতিহাসে উত্তরদিনাজপুর ও দক্ষিন দিনাজপুরের বন্যা হয়নি। এছাড়াও এই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তিনি এদিনের বৈঠক থেকে  জনপ্রতিনিধিদের সচেতন থাকতে নির্দেশ হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। বন্যা পরিস্থিতির নিয়ে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের বিষয়ে বলেন, এদিনের বৈঠকে তারাও উপস্থিত ছিলেন,তাদেরকে বলা হয়েছে ১২ ঘন্টা আগে সেন্ট্রাল ওয়াটার লেভেল কমিশনের সর্তকতায় সমস্যা হচ্ছে।সামান্য সময়ে মানুষকে সর্তক বা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া কঠিন। তবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।তবে মন্ত্রী এদিন ভুটান পাহাড়ের জল ছাড়ার বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলে ভুটান না জানিয়ে জল ছেড়ে দিচ্ছে, এবং তাদের পাহাড়ি ডলোমাইট জলে ধুয়ে এসে সমতলের নদীগুলি নাব্যতা হারাচ্ছে। সবশেষে নবনিযুক্ত এই  মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট সচেতন এবং তৎপর তাই এত আর্থিক অপ্রতুলতা, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও তিনি ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী  ইনফ্রাস্ট্রাক্টর ডেভলভমেন্ট ক্যাপিং ফান্ড। উত্তরবঙ্গের জন্য চারটি স্কিম রয়েছে। বাংলায় দুইটি স্কিম হয়েছে। মুন্সুন পেরিয়ে গেলেই  কাজ শুরু করা হবে।তাতে আগামী বর্ষায় মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবে।এছাড়া মহানন্দা অ্যাক্সন প্ল্যান নিয়ে বলেন, দেখে গেলাম আগামীতে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি: সুপ্রিয় বসাক (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!