শিলিগুড়ির সাহিত্য অঙ্গনের দশম বর্ষ পূর্তী উৎসব পালিত হল হায়দারপাড়ায়
সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই, শিলিগুড়ি, ২১শে মে, ২০১৮: আগুনের পরশমণি ছুঁইয়ে দিয়ে শিলিগুড়ির সাহিত্য অঙ্গনের দশম বর্ষ পূর্তী উৎসব শুরু হলো বেশ সুরেলা আবহে। শিলিগুড়ির হায়দারপাড়ায় খোলা বাতায়নে প্রথম পর্বে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডঃ গৌড় মোহন রায়কে বিশেষ সাহিত্য সাধক সম্মানে সম্মানিত করা হয়। পল্লব কান্তি রাজগুরুর হাতেও তুলে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মান। ডঃ গৌড় মোহন রায় জানান, সাহিত্যিক একজন সাধক। সাহিত্যের সঙ্গে বুদ্ধি এবং হৃদয়ের যোগ। তার পাশাপাশি এদিন সাহিত্য কেন্দ্রীক আলোচনায় অংশ নেন পল্লব কান্তি রাজগুরু, নিশিকান্ত সিনহা, ভবেশ দাস, ডঃ বাসুদেব রায়, সুহাস বসু প্রমুখ। তাদেরকেও উত্তরীয় পরিয়ে স্মারক সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। লক্ষী নন্দী শোনান তার ‘পৃথিবী’ শীর্ষক কবিতা। স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন সুজাতা পাল, শশধর সরকার, প্রসূন শিকদার, তপন বিশ্বাস, মুনমুন ভৌমিক দাম, বিপ্লব রায়, চম্পা ভট্টাচার্য, মৃণালিনী, অর্চণা দাস, পারমিতা বিশ্বাস, প্রবীর শীল, শিপ্রা পাল, মৌসুমী নন্দী, কাকলি মুখার্জী সহ অন্যান্যরা। গল্প পাঠে ছিলেন আবীরা সেনগুপ্ত। সংগীতে অরুণাচল বাসু ছিলেন বেশ স্বতঃস্ফূর্ত। গোপা দাস তার গানে তুলে ধরেন অজস্র অনুভবকে।তবলা সঙ্গতে তাপস চৌধুরী। সুদীপ চৌধুরী শোনান উনিশে মে সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকায় এগারো জন নয়, মোট শহীদ হয়েছিলেন চোদ্দ জন।অন্য ভাবনার সংগীতে অংশ নেন বাসুদেব চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথকে অনুভব না করলে সংহিতা বিশ্বাস যেমন গান গেয়েছেন তেমন হয়তো আর অন্য কেউ পারেনা। মনোজ পাইনের সনেট যেন কবিতার এক নতুন দিশা দেখালো। পারমিতা বিশ্বাসের আবৃত্তি বেশ সুখশ্রাব্য। এক সম্প্রীতির কবিতা শোনান বিহারের কবি পঙ্কজ কুশহুয়া। নিহার রঞ্জন দাস সম্পাদিত ‘ঘোড় সওয়ার’ সাহিত্য পত্রিকার এদিন আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক বিবেক কবিরাজ ও সভাপতি নির্মলেন্দু দাস উত্তরের সাহিত্য ক্ষেত্রকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা বলেন।শিশু শিল্পী দুর্গা অধিকারীর গান যেন এই প্রজন্মের শিল্পীদের ভাবতে শেখাবে।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে সঞ্চালনা করেন মানসী কবিরাজ ও কাকলি মুখার্জী।
ছবিঃ সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই)