কুচবিহার জুড়ে ভোট সংঘর্ষ কি কুচবিহার তৃনমূলের অন্তরকলহ কে সামনে আনলো?
মনোজ সরকার
বিরোধীদের হাজারো অভিযোগ, বুথে বুথে রিগিং, ছাপ্পা ভো্ কোথাও ব্যালোট বক্স লুট, দিনভর জেলার অধিকাংশ ব্লকেই চলে সংঘর্ষ, কোথাও শাসক বনাম শাসক, আবার কোথাও শাসক বনাম বিরোধী বিজেপি। এমন কি তৃনমূল জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এক বিজেপি কর্মীকে চড়ও কষিয়ে কুচবিহার কে খবরের শিরনামে পৌচ্ছে দেন। পিছিয়ে ছিলেন না তৃনমূল জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদও। তিনিও বুথের ভেতর ঢুকে বিরোধী পোলিং এজেন্টদের কার্যত হুমকি দিয়ে বুথ ছাড়া করেন। প্রায়, প্রতিটি বুথেই শাসক দলের তান্ডব অসহায়ের মত দেখতে হয় পুলিশ কর্মীদের। সূর্যাদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত কুচবিহার জেলায় এত নাটকের পরও শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের বাণী “দু-একটি সামান্য ঘটনা ছাড়া ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ন”। বিরোধী সব রাজনৈতিক দল এমকি শাসক তৃনমূলের একাংশ আজ প্রশ্ন তুলছেন অবাধ শান্তিপূর্ন নির্বাচন হলে কি মৃত্যু হয় দুজনের, আহতের সংখ্যা শতাধীক?। কেন নির্বাচন কমিশন জেলার ৫২ টি বুথে পুঃননির্বাচনের নির্দেশ দিলেন?। শাসক দলের জবাব সেই একই “শান্তিপূর্ন”। নেতা মন্ত্রীদের মত জেলায় এই প্রথম নজীর গড়ে তুললেন সাধারন দিনহাটা থানার পুলিশ কর্মীরা। বুধবার দিনহাটায় যে সমস্থ বুথে পুঃননির্বাচন সেই সব বুথে ডিউটি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পুলিশ কর্মীরা। সংখ্যায় অধীক ও গুলি চালানোর ক্ষমতা দিতে হবে এই দাবীতে পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশের বিক্ষোভ এক নজীরবিহীন ঘটনা। জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব কে দায়ী করে কুচবিহার ১ নং ব্লকের সভাপতি খোকন মিয়া আজ ক্ষোভের সাথে জানান, নির্বাচন কে কেন্দ্র করে যে মৃত্যু বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা কাম্য ছিলো না। ব্লক সভাপতিদের কে গুরুত্ব না দিয়ে যাদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে তারা প্রকৃত তৃনমূলী কি না সন্দেহ আছে। জেলা নেতৃত্বের এই আচরণ বিস্তারিত রাজ্য নেতৃত্ব কে জানাবেন বলে তিনি জানান।
ছবিঃ মনোজ সরকার (টি.এন.আই)