ইসলামপুরে অনুষ্ঠিত হল বই পড়া বিষয়ক আলোচনা সভা

সুশান্ত নন্দী (টী.এন.আই সংস্কৃতি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ২৫শে এপ্রিল, ২০১৮: “আমি বরং চিরদিন চিলেকোঠায় পরে থাকবো তবুও আমি এমন রাজা হতে চাইনা;যিনি বই পড়তে ভালোবাসেন না।” বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি উঠে এলো বই দিবসের আলোচনা চক্রে। “আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি বিদ্যার যুগেও বই এর প্রাসঙ্গিকতা” এই বিষয়ে অনেক রাত পর্যন্ত চললো আলোচনা। নতুন বই কিনলেই বইয়ের পাতায় গন্ধ যেন মন ভরিয়ে দেয়। সেই গন্ধই যেন বই টেনে নিয়ে আসে পাঠককে। আলোচনায় জানালেন উদয় দাস। বিদ্যালয়গুলিতে গ্রন্থাগার নেই। তাই পাঠ্য বইয়ের বাইরে বের হতে পারেনা পড়ুয়ারা। অবিলম্বে পড়ুয়াদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরী করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার তৈরির দাবি তুললো মাধ্যমিক পড়ুয়া অন্বেষা রায়। অভিজিৎ আচার্য্য জানালেন, বই পড়ার অভ্যাস মানুষের জীবনযাত্রাকে সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে পারে। জ্ঞানের ভান্ডার কে পরিপূর্ণ করতে বইয়ের বিকল্প নেই। এমনকি সুন্দর সমাজ কিংবা সুশীল সমাজ গঠন করার ক্ষেত্রে বইয়ের ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না। নিশিকান্ত সিনহা জানালেন, একটা বই হতে পারে মানুষের প্রকৃত বন্ধু। সেখানে সে বিকশিত হতে পারে। কিন্তু শৈশবের সেই বিকাশকে পরিপূর্ণ করতে অভিভাবকরা বা লেখক সমাজ গুরুত্ত্ব দিয়ে এগিয়ে আসেননা। তাই পাঠ্য বইয়ের বাইরে কবিতা, উপন্যাস বা গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি শিশু ও কিশোরদের। শিক্ষক উজ্জ্বল দত্ত মনে করেন,বই যে ভাবেই পড়া হোক, মূল বিষয় হলো বইকে নিয়ে এগিয়ে যাও।প্রয়োজন বৌদ্ধিক বিকাশ। তৎকালীন অনেক সামাজিক বিষয় সঠিক ভাবে জানতে হলে সাহিত্য পাঠ প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন মেটাবে বই। ডঃ বাসুদেব রায় জানান, পেশায় ব্যবসায়ী হলেও বইয়ের টানে এখনো এগিয়েই চলেছি। বই পড়েই একটা মানুষ সম্পূর্ণ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সুপ্রিয়া মজুমদার রায় শোনান, একসময় বিয়েতে বই উপহার দেবার প্রচলন থাকলেও এখন তা উঠে গেছে। পুনরায় বই উপহার দেবার ক্ষেত্রে সকলকে উদ্যোগী হতে বলেন তিনি।

ছবিঃ সুশান্ত নন্দী (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!