নববর্ষে গোয়ালপোখর সীমান্তে ভারত-বাংলা মিলন মেলা আজও পালন করা হল

দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ১৬ই এপ্রিল, ২০১৮: বিদায় ১৪২৪, স্বাগত ১৪২৫। উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নারগাঁ এলাকায় বাংলা শুভ নববর্ষে মিলন হল দুই বাংলার মানুষের। এই স্থানে প্রতি বছর ১লা বৈশাখ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সহায়তায় হয় মিলন মেলা, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই মেলাকে কেন্দ্র করে গোয়ালপোখরের শ্রীপুর, ডাঙ্গিপাড়া, কুঁকরাদাহ সহ বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁ জেলার হাজার হাজার মানুষ কাঁটা তারের দু’পাশে জড়ো হয়। এক বছর পর আপন জনকে দেখতে পেয়ে অনেকেই চোখের জলে তাঁদের অভাব ব্যাক্ত করেন। অনেকে আবার এসেছেন ভালোবাসার টানে। কাঁটা তারের বেড়ার ওপারে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন জিনিস আদানপ্রদান করতে দেখা যায় অনেককে। বাদ যায়নি প্রিয়জনদের মধ্যে বাংলাদেশের সেই বিখ্যাত পদ্মার ইলিশ আদান প্রদানও।সব মিলিয়ে আজকের এই মিলন মেলা ঘিরে এলাকাবাসীর উচ্চাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এপারে বাঙালী ওপারে বাঙালী মাঝে শুধু কাঁটা তারের বিভাজন রেখা। বিভাজন শুধু দুই দেশের, বাঙালীর নয়। ভাগ হয়েছে অনেক বছর আগে, কিন্তু হৃদয়ের বন্ধন ছিন্ন হয়নি এখনো। এপার বাংলার-ওপার বাংলার মানুষের মধ্যে যে অটুট বন্ধন তা আজ আর একবার প্রমাণ হল। এদিনের এই মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলার দুই প্রান্তেই বসেছিল বিভিন্ন দোকানের পসার। বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁ জেলার বাসিন্দা বাবলু পাল বলেন, এবছর প্রথম এখানে এসে আন্তরিকভাবে খুব আনন্দ পেয়েছি। প্রায় 30 বছর পর আপনজনদের চোখের দেখা দেখতে পেয়ে দুই দেশের প্রশাসনকেই ধন্যবাদ জানাই। গোয়ালপোখরের প্রবীণ কুমার সিংহ ও ঝর্ণা পাল’রা বলেন, দীর্ঘ এক বছর ধরে এই দিনটার অপেক্ষায় থাকি আমরা। আমরা গরিব আপনজনদের দেখতে যাবার খরচ বহন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই এখান থেকেই দেখি এবং মিষ্টি ফল দিলাম। বিএসএফ খুব সহযোগিতা করে ধন্যবাদ তাঁদের।

ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!