আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হল ভারত – বাংলা হিলি সীমান্তে

দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই বালুরঘাট ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: এপার বাংলা ও পার বাংলা দুই বাংলার সম্প্রীতির প্রয়াসে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল বুধবার। অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দুদেশের ভাষাপ্রেমী মানুষ দের নিয়ে ইন্দো – বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শূন্যরেখা হিলিতে অনুষ্ঠিত হলো যৌথ অনুষ্ঠানটি। প্রতি বছর এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা পৃথিবীতে পালিত হয়। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই – এই দাবী আদায়ের সংগ্রামে শহীদদের আত্মদানের জন্য ১৯৯৯ সালে জাতি সঙ্ঘের ইউনেস্কো এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। তাই একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বের কাছে শুধু শোক আর বেদনার দিন নয়, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের, সব ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন উৎসব ও প্রেরণার দিন।

হিলি ব্লকের অন্তর্গত “উজ্জীবন সোসাইটি” এবং “আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান কমান্ড” ও “সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত” হাকিমপুর, দিনাজপুর বাংলাদেশের এর যৌথ উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণে হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট (ভারত – বাংলাদেশ শূন্যরেখায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হলো। উপস্থিত ছিলেন – ভারতের পক্ষে সূরজ দাশ, সম্পাদক উজ্জীবন সোসাইটি তিওড়, নবকুমার দাস আহ্বায়ক মেঘালয় তুরা কমিটি, ছন্দম কলাকেন্দ্র বালুরঘাট। ওপার বাংলার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী  মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ শিবলী সাদিক, জাহিদুল ইসলাম সম্পাদক আলোকিত সীমান্ত, মো. লিয়াকত আলী ও আরো অনেকেই। এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনায় ভারতীয় প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা দিয়ে ওদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। মঞ্চে নাচ গান কবিতা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এদিনের এই বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়।

ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!