পুলিশ লক আপেই আমরণ অনশন চোপড়ার কংগ্রেস প্রার্থীর
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই চোপড়া ১৬ই এপ্রিল, ২০১৮: এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে গতকাল রবিবার চোপড়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ লক আপেই আমরন অনশন শুরু করেছে শিক্ষক সহিদূল ইসলাম। জানা গিয়েছে, চোপড়া থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে কংগ্রেস -তৃনমূল সংঘর্ষের ঘটনায় বিনান্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের 3 নম্বর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী সহিদূল ইসলামকে গতকাল রবিবার গ্রেপ্তার করে চোপড়া থানার পুলিশ। চোপড়ায় আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ সহিদুল ইসলামকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে আসে। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে পুলিশ লক আপেই আমরন অনশন শুরু করেছেন শিক্ষক সহিদূল ইসলাম। ধৃত সহিদূলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে ইসলামপুর আদালতে হাজির করাল চোপড়া থানার পুলিশ। ধৃত সহিদূলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৪২৭, ২৫/২৭ arms act.সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে চোপড়া থানার পুলিশ। সোমবার শিক্ষক সহিদুল ইসলামকে ইসলামপুর আদালতে পাঠানো হলে ইসলামপুরের এসিজেএম আদালত তাঁকে দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর এবং বোমা গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সমর্থকরা পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তৃনমূল কংগ্রেস সমর্থকরা মোটরবাইক ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। চোপড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃত প্রধান শিক্ষক সহিদূল ইসলাম বলেন, বিরোধী দল করা অন্যায়, চোপড়া সহ সারারাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। আমি কোনও গন্ডগোলে নেই তাও আমাকে বোম বন্ধুক আরও কি কি সব মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকালো। তাই আমি অনশন শুরু করেছি। চোপড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অশোক রায় বলেন, গ্রামে গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাইক বাহিনীর সন্ত্রাস করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না বা কংগ্রেসের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)