চাকুলিয়ায় তৃনমুল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙনে উজ্জীবিত বাম শিবির
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই চাকুলিয়া ১৩ই এপ্রিল, ২০১৮: বামশরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্তঘাটি চাকুলিয়া ব্লকের সুর্য্যাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমুল কংগ্রেসে ভাঙ্গন ঘটায় বড়সড় ধাক্কা খেল শাসক দল। জানা গিয়েছে, মহম্মদ ওলাহিদ হুসেন ও মহম্মদ সফিকের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। শেষ অবধি পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট না পেয়ে মহম্মদ সফিক তৃণমুল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিআইএমে যোগদান করলেন। সুর্য্যাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেক প্রবীন তৃণমুল কর্মীরা পঞ্চায়েতের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দলে মনোনয়ন করেছেন। আবার কোথাও একটি আসনের জন্য একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন করেছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি আমলাবাড়ি গ্রামে সাড়ে তিন হাজার কর্মী সমর্থক তৃনমুল ছেড়ে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি সিপিআইএমের অশোক সিংয়ের হাত দলীয় পতাকা নিয়ে সিপিআইএমে যোগদান করেন। অশোক সিংয়ের পুত্রবধূ পুনম কৌর এবার ১৪ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তৃনমুল কংগ্রেসের এই বিপুল পরিমাণ ভাঙ্গনে সিপিআইএম শিবিরে যে বাড়তি ইন্ধন যোগাবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃনমুল ছেড়ে সিপিএমে যোগদানকারী সফিক আলম বলেন, টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করছেন তৃণমুল কংগ্রেসের নেতারা। স্থানীয় সিপিআইএম নেতা মহম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, আমলাবাড়ি গ্রামে এক সভার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার তৃণমুল কংগ্রেস কর্মী সিপিআইএমে যোগদান করেছেন। ছোট ছোট সভাতেও শাসকদল ছেড়ে আমাদের দলে মানুষ যোগদান করছে। চাকুলিয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ও দলত্যাগি মহম্মদ জাফির আকমোল বলেন, তৃণমুল কংগ্রেসের পদাধিকারীরা টাকার বিনিময়ে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করছে। সুর্য্যাপুর ২ তৃণমুল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি রাজেশ সিংহ বলেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের উর্দ্ধতম নেতৃত্বের নির্দেশে দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়নি। যে সমস্থ দুর্নীতিগ্রস্থরা টিকিট পায়নি তারাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন। সুর্য্যাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জনগন মমতা দিদির উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে ঘাষ ফুলেই ভোট দেবেন বলে রাজেসবাবুর দাবী। রাজেশবাবুর আরোও দাবী আমলাবাড়ি লালগঞ্জ এলাকার মানুষ তৃণমুল কংগ্রেসের সাথেই রয়েছেন।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)