কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধী শুন্যের কারিগর মহম্মদ আবদুল
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ১০ই এপ্রিল, ২০১৮: কমলাগাঁও সুজালি নাম শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। কি পুলিশ, কি সংবাদ মাধ্যম, কি প্রশাসনিক আধিকারিক মুখে না প্রকাশ করলেও কমলাগাঁও সুজালি অঞ্চলের আতঙ্কের আবহকে কেউই অস্বীকার করতে পারেন না। আর সেই ইসলামপুর ব্লকের কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও বিরোধী দলের প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল না করাতে মঙ্গলবারই এলাকায় বিজয় উৎসবের আবহ বর্তমান। কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনেই শুধুমাত্র শাসকদল তৃনমুলের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। পাশাপাশি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ওই অঞ্চলের ৪, ৫ ও ৬ তিনটি আসনেও বিরোধী কোনও প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। আর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে এলাকার আম জনতা এসবের কৃতিত্ব অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আবদুলের বলে দাবী করছেন। জানা গিয়েছে, অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আবদুল একের পর এক উন্নয়নমুলক কর্মসুচী এলাকায় এনে গ্রামবাসীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করে এই অঞ্চলকে বিরোধী শুন্য করে তুলেছেন। গ্রামবাসীরাও কমলাগাঁও সুজালি অঞ্চলের হিংসা, আতঙ্কের কালো অধ্যায়কে চিরতরে মুছে ফেলে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আবদুলের পাশে দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৬ নম্বর আসনের মহিলা প্রার্থী রিজিয়া খাতুন বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন কিন্তু আমাদের অঞ্চল সভাপতি কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনেই মহিলা প্রার্থী দিয়ে মহিলাদের এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী নুরি বেগম বলেন, আমাদের অঞ্চলের নাম শুনলেই অনেকেই আতঙ্কে ভুগতেন, আসতে চাইতেন না এই এলাকায়। অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে এলাকায় শান্তির বাতাবরন তৈরি হয়েছে পাশাপাশি উন্নয়নও হচ্ছে। কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আবদুল বলেন, কোনও হিংসা নয়, কোনও সন্ত্রাস নয় আমরা গ্রামবাসীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করে বিধায়ক হামিদুল রহমানের নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন করে আজকে বিরোধী শুন্য অঞ্চলে পরিণত করতে পেরেছি। দল যাকে প্রধান নির্বাচন করবে সেই প্রধান হবেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনও আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছি। উন্নয়নের প্রশ্নে গ্রামবাসীরা তৃনমুলের সাথে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টি.এন.আই)