কুমারগঞ্জে সম্পন্ন হল ৪০ তম বার্ষিক হিন্দু ধর্ম সংস্কৃতি সম্মেলন ও বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠান
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই কুমারগঞ্জ ৫ই মার্চ ২০১৮: সোমবার দিন প্রবল উৎসাহ, উদ্দিপনা ও পুরস্কার প্রদানের মধ্যে দিয়ে শেষ হল ভারত সেবাশ্রম সংঘ অনুমোদিত কুমারগঞ্জ হিন্দু মিলন মন্দিরের দুইদিনের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৪০ তম বার্ষিক মহোৎসব, হিন্দু ধর্ম সংস্কৃতি সম্মেলম ও বৈদিক যজ্ঞা অনুষ্ঠান উপলখ্যে কুমারগঞ্জ হিন্দু মিলন মন্দির উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য,নাটক, বসে আঁকো সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যাতে অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের ক্ষুদে পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, বহিরাগতদের জন্য ভক্তিমূলক সংগীত প্রতিযোগীতা, মেয়েদের জন্য শঙ্খ ধ্বনি ও উলু ধ্বনি প্রতিযোগীতা, সকলের জন্য যোগাসন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি সংঘের নবীন ও প্রবিন সন্ন্যাসী মন্ডলী এই মহতি উৎসবে শুভ পদার্পন করে মূল্যবান ভাষন, ধর্মালোচনা, সাধনোপদেশ ও দীক্ষাদান করেন। এবিষয়ে স্বামী অনুপমানন্দজী মহারাজ বলেন, স্বামী প্রনবানন্দ বলেছিলেন, হিন্দুর বিদ্যা আছে, বুদ্ধি আছে, ব্যাক্তিগত শক্তি সামর্থ্যও যথেষ্ঠ আছে। কিন্তু নাই সংহতি ও শক্তি। এই সংহতি শক্তি জাগিয়ে দিলে হিন্দু জাতি অজেয় হয়ে দাঁড়াবে। আর এই সংহতি জাগিয়ে তোলার এবং শৈশব ও কৈশোরের মনন ও নান্দনিক উৎকর্ষতা বিকোশিত হয় উপযুকত সাংস্কৃতিক পরিবেশে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভা সুষ্ঠ ভাবে বিকোশিত হয়ার ক্ষেএে প্রতি বছরের মত এবছর ও দুইদিন বেপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, মহাপ্রশাদ বিতরন প্রভৃতি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, গৈরিক পতাকা উওোলন, প্রদীপ প্রজ্জলন এর মধ্যে দিয়ে মিলন মন্দিরের নিজস্ব ময়দানে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রবিবার। উপস্থিত ছিলেন, স্বামী প্রদীপানন্দজী মহারাজ, স্বামী অনুপমানন্দজী মহারাজ সহ সংঘের নবীন ও প্রবিন সন্ন্যাসী মন্ডলী। এছাড়াও বিশিষ্ট জনেদের মধ্যে পরিস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার শ্রী প্রসুন ব্যানার্জী, মহকুমা শাসক শ্রীমতী ঈশা মুখার্জী, কুমারগঞ্জ ব্লকের বিডিও শ্রী দেবদও চক্রবর্তী, কুমারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক শ্রী পার্থ ঝাঁ প্রমুখরা। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকার এবং দূর দূরন্ত থেকে প্রচুর ভক্ত এবং সাধারন লোকের সমাগম হয়।
ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র(টী.এন.আই)