জলপাইগুড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু গৃহবধূর, স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই জলপাইগুড়ি ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮: নিজের বাড়িতে এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির গোমাস্তা পাড়াতে। নিজের শোবার ঘরেই গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু গীতা দাস(৩২)। তবে মৃত্যুর আগে মৃতা ঘরের দেওয়ালে নিজের হাতেই তার মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোককে দায়ী করে গেছেন। জানা গেছে, মৃতা গীতা দাস দেওয়ালে স্পষ্ট করে লিখেছে, “আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী শ্বাশুড়ি, জা নবনীতা,ভাসুর গনেশ। এই তিনজনের জন্য বাধ্য হলাম আমি আত্মহত্যা করতে। আমি চাই এই তিনজনের কঠিন শাস্তি হোক”।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জানা গেছে, গীতার স্বামী প্রতিদিনের মত এদিনও সকালে টোটো নিয়ে বেরিয়ে যায়। দুপুরে বাড়ি ফিরে এসে শোবার ঘরে স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। সাথে সাথেই মৃতদেহটিকে নামিয়ে ফেলেন তিনি। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে মৃতদেহটিকে মাটিতেই পড়ে থাকতে দেখেন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করে। এদিনই গীতার স্বামী পেশায় টোটো চালক অমিত দাসকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৫ সালে দুইজনের বিয়ে হয়েছিল। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিনই ঝাগড়া লেগে থাকত। সেই থেকেই হয়ত এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এই গৃহবধু। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত করা হবে পুলিশ জানিয়েছে।।

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!