ধুপগুড়ী হাসপাতালের আপদকালীন বিভাগেও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম্য
সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই ধুপগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ধুপগুড়ী ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮: রোগী নিয়ে তার পরিবারের লোকেরা সরকারী হাসপাতালের আপদকালীন বিভাগে দাঁড়িয়ে। আরেক দিকে হাসপাতালের আপদ কালীন বিভাগে রোগী বসার চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে রয়েছেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা। সরকারি নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করেই আপদকালীন বিভাগে ব্যবসা চালাতে মরিয়া এই ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে রোগীর আত্মীয়রাও মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন বহুবার। জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ী গ্রামীন হাসপাতালে এত রোগীর চাপের মাঝে শুক্রবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের ভিড় থাকলেও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রোগীদের বসার চারটি আসনই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা দখল করে বসে রয়েছে। যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে হাসপাতাল নজরদারি। এদিকে বিষয়টি লক্ষ্য করে সাংবাদিকরা এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করতেই তারা জবাব দিলেন, যেখানে সাধারন মানুষ প্রবেশ করতে পারেন সেখানে তারাও ঢুকতে পারেন, পাশাপাশি তাদের দাবি আপদকালীন বিভাগের পাশে চিকিৎসক বসলে দুপুর ২ টার পরে আমরা দেখা করতে এসেছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে ওষুধের নমুনা নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি চেয়ার দখল করার প্রসঙ্গে এক প্রতিনিধি বলেন, যদি কোনো রোগীর আত্মীয় বসতে চায় তাহলে তারা আসনটি ছেড়ে দেবেন। এরপর এই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা সাংবাদিকদের ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের উলটে হাসপাতালে ঢোকার কৈফিয়ত চান। এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা যেভাবে সেজে থাকে তাতে যে ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে আসা রোগী বা তাদের আত্মীয়রা চেয়ার থেকে উঠতে বলার কথা বলতে দ্বিধা গ্রস্ত হবেন। এই ঘটনার বিষয়ে ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কর্তা ডাঃ সব্যসাচী মন্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান একটি নির্দেশিকা জারি করে হাসপাতালের আউটডোর এবং জরুরি বিভাগে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। তবে কি ভাবে এরা ঢুকল তা খতিয়ে দেখা হবে। এক রোগীর আত্মীয় মহম্মদ হানিফার হোসেন অভিযোগ করেন, তার ভাগনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকও রোগী দেখতে ব্যস্ত ছিলেন। আর ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা চারটি চেয়ারে বসে ছিলেন।সেই কারনে চিকিৎসকের অপেক্ষায় বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
ছবিঃ সুপ্রিয় বসাক (টী.এন.আই)