বেআইনি ভাবে রমরমিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে ভাড়া খাটছে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ২রা ফেব্রুয়ারি ২০১৮: পরিবহন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে দাপিয়ে ভাড়া খাটছে প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি। প্রশাসনিক উদাসীনতায় এই ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কমার্শিয়াল নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ির মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। এতে গতিধারার মতো সরকারী প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এনিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি ভাড়া ধরছে এটা আদালতে প্রমান করা খুবই মুশকিল। আর প্রশাসনের এই দুর্বলতার সুযোগে প্রাইভেট গাড়িগুলি দেদার ভাড়া খাটছে। কমার্শিয়াল গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রুটের পারমিট থাকে। এর বাইরে গেলে আলাদা করে পারমিট নিতে হয়। নইলে পরিবহন আইন অনুযায়ী জরিমানা হতে পারে। কিন্তু প্রাইভেট গাড়ির জন্য আলাদা করে পারমিট নিতে হয় না। গতিধারা প্রকল্পের গাড়ির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট রুটে চলার পারমিট থাকে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে আজ পর্যন্ত জেলায় মাত্র ৫৫টি গাড়ি গতিধারা প্রকল্পে বিক্রি হয়েছে। পরিবহন দপ্তর সুত্রেই জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাসে গতিধারা প্রকল্পের গাড়ির কোনও পারমিট হয়নি। এটা রোখা না গেলে আর গাড়ি বিক্রি হবে না বলেই কমার্শিয়াল গাড়ির মালিকরা মনে করেন। প্রাইভেট গাড়িগুলি অবাধেই বিভিন্ন রুটের ভাড়া ধরছে। এতে কমার্শিয়াল গাড়ির লাইসেন্স নিতে নতুন করে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আই.এন.টি.টি.ইউ.সির জেলা নেতা তথা উত্তর দিনাজপুর মোটর কর্মী সংগঠনের সভাপতি শ্রী অরিন্দম সরকার বলেন, আইনত প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া ধরতে পারে না। কিন্তু তারা এখানে ভাড়া ধরছে। এতে কমার্শিয়াল গাড়ি মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি বিক্রি বাড়াতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। এবিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। জেলা পরিবহন আধিকারিক লরেন্ট সিকলিং বলেন, প্রাইভেট গাড়ি যাত্রী তুলে ভাড়া খাটাছে এটা আদালতে প্রমান করা মুশকিল। এক্খেত্রে যাত্রীদের স্বীকারোক্তির প্রয়োজন হয়। গাড়ি ধরলে যাত্রীরা ভাড়ার কথা অস্বীকার করে। গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি নিতে যুবক যুবতীদের আগ্রহ বাড়াতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রচার চালাচ্ছি।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)