কংগ্রেস ও তৃনমূলের মধ্যে বিবাদে রণক্ষেত্র চোপড়া
দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই ইসলামপুর) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই ইসলামপুর ২৯শে জানুয়ারি ২০১৮: তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েতের কাজে দুর্নীতির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডেপুটেশন কে ঘিরে রনক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত। কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে পুলিশকর্মীসহ আহত দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাসের পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আহতদের চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃনমুল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। জানা গিয়েছে, তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পসহ বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ১৫ দফা দাবি নিয়ে আজ চোপড়া ব্লক কংগ্রেস থেকে ডেপুটেশন দিতে যায়। পুলিশের কাছে আগাম খবর থাকায় চোপড়া থানার পুলিশ দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতে আগে থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে রাখে। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তৃনমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালায়।
এরপরই সংঘর্ষ বেধে যায় কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেসের মধ্যে। সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশও আক্রান্ত হয়। চোপড়া থানার আইসি গৌতম রায় ও এএসআই মানিক বর্মন সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্সসহ বিশাল পুলিশবাহিনী। চোপড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অশোক রায় বলেন, আমরা ডেপুটেশন দিয়ে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়ে আসতেই তৃনমুলের কর্মীরা পুলিশের সামনেই আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের বেশকয়েক জন কর্মী জখম হয়েছে। পুলিশ আমাদের কর্মীদেরকেও গ্রেপ্তার করেছে। চোপড়ার বিধায়ক তৃনমুলের হামিদুল রহমান বলেন, কংগ্রেসীরা ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে এসে পঞ্চায়েতের সামনে মাইক লাগিয়ে আমাদের দলের প্রধান ও দলের নামে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করছিল তখন হাটে থাকা মানুষ প্রতিবাদ করাতে গন্ডগোল থেকে মারামারি শুরু হয়। আমাদের বেশকয়েক জন কর্মী জখম হয়েছে, পুলিশ আমাদের কর্মীদেরও গ্রেপ্তার করেছে। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছে, গুলি চালানো হয়নি রবার বুলেট চালানো হয়েছে। চোপড়া থানার আইসি সহ আটজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে। ঘটনায় ২৫জনকে আটক করা হয়েছে।
ছবিঃ দীপঙ্কর দে (টী.এন.আই)