প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই সীমান্তে কোঠোর নিরাপত্তার টহলদাড়ি বি.এস.এফ এর
স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই মেখলীগঞ্জ ২১শে জানুয়ারি ২০১৮: বাঙ্গলাদেশের কোচবিহার সংলগ্ন সীমান্ত জুড়ে চলছে বি.এস.এফ এর কঠোর নজরদাড়ি, বাড়ানো হযেছে সীমান্ত অতিরিক্ত প্রহরা৷ কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বি এস এফের জলপাইগুরি সেক্টরের তিনটি ব্যাটালিয়ন ৬১নং ব্যাটালিয়ন ৪৫নং ব্যাটালিয়ন ১৪৩নং ব্যাটালিয়ন সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা যায় কয়েক দিন বাদে ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস৷ বাংলাদেশ থেকে যাতে কোন দুষ্কৃতি, জজ্ঞি সংগঠনের লোক ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা না করতে পারে ৷উল্লেখ্য যে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা ও তিনবিঘা এলাকায় বেশীর ভাগ এলাকাজুড়ে সীমানা খোলা রয়েছে, কোন তারকাটা বেড়া নেই। এই সব খোলা সীমান্ত পূর্বে এক সময় আই এস আই এজেন্ট নজরুল ইসলাম এবং আলফা নেতা ও কে.এল.ও জঞ্জি নেতা টম অধিকারী, মিল্টন বর্মা, সুকুমার রায়, অবিনাশ অধিকারী, পুলস্ত রায় এই সীমান্ত থেকে যাতায়াত করতো বলে জানা যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা ও রাজ্যে সরকারের গোয়েন্দারা চ্যাংরাবান্ধা ও তিন বিঘা সীমান্তকে তীক্ষ্ণ ভাবে নজর রাখে। পূর্বের মত তেমন কোন বিপত্তি যাতে না হয় এজন্য তৈরি বি.এস.এফ৷ অন্যদিকে, এদিকে জলপাইগুরি সেক্টরের ডি.আই.জি বি.এস পাঠিয়াল জানান – প্রতি বছরের মত প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে কোঠর নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়। প্রত্যেক ব্যাটালিয়ন কোমান্ড কে সীমান্তে যাওয়ার নির্দশ দেওয়া হয়েছে এবং আমি নিজেও চ্যাংরাবান্ধা ও তিন বিঘা সীমান্তে পরিদর্শনে যাব। এই সীমান্তে দুটি নদী রয়েছে ধরলা আর তিস্তা এই দুই নদীর তারকাটা বিহীন এলাকাতেও কঠোর নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। শ্রী বি.এস পাঠিয়াল আশাবাদী যে এত কঠোর নিরাপত্তার মাঝে কোন দুষ্কৃতি ভারতে প্রবেশ করতে পারন না। সীমান্তবাসি নিরাপত্তার মাঝে আনন্দ উপভোগ করুক এই কামনা করেন বলে জানান।
ছবিঃ স্বপন রায় বীর (টী.এন.আই)