বিয়ে করতে আসা বাংলাদেশী নাবালক কে প্রত্যার্পন করল ভারত

দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি

বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই বালুরঘাট ৭ই জানুয়ারি ২০১৮: প্রায় ১৩ মাস পর ঘরে ফিরলো এক বাংলাদেশী নাবালক শিশু। রবিবার সকাল ১১ টায় হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে শিশুটিকে দুদেশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে প্রত্যর্পণ করা হয়। ভিন ধর্মের মেয়ের সঙ্গে প্রেম। কোনমতেই দুই পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেবেনা বলে আশংকা ছিল। কিন্তু পরিবারের সেই আপত্তিকে উপেক্ষা করে ভারতে এসে বিয়ের পর ঘর বাঁধাতে নয়া কৌশল নিয়েছিল বাংলাদেশী নাবালক ও নাবালিকা। কিন্তু বাঁধ সেধেছিল আইন। অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকেও শেষ রক্ষা হয়নি ভিনধর্মী বাংলাদেশী ছেলে মেয়েটির। এখানকার সরকারী হোমে ঠায় হওয়া মেয়েটিকে দিন পনেরো আগে ফেরত পাঠানো হলেও রবিবার প্রত্যাপর্ন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয় ছেলেটিকে। জানাগেছে গত ২ নভেম্বর ২০১৬ তে অমৃত সূত্রধর নামে বাংলাদেশী নাবালককেবালুরঘাট থানার পুলিশ বালুরঘাট বাসস্টান্ড এলাকা থেকে আটক করে। নাবালকটির সঙ্গে ছিল একবছর পনেরোর নাবালিকা। কন্যাটিকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য ও জীবন সুনিশ্চিত  করতে এদেশে  অনুপ্রবেশ করেছিল। তবে এই  দুজনের যত্ন সুরক্ষা এবং সঠিক কাউন্সেলিনের জন্য বালুরঘাট থানা  দক্ষিণ দিনাজপুর চাইল্ডলাইনের হেফাজতে তুলে দেয়। কন্যাটিকে সি ডবলু সি দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্দেশে মালদা চিলড্রেন হোমেপাঠানো হয়। পাশাপাশি, অমৃতকে রাখা হয় বালুরঘাটের শুভায়ন হোমে।

দিন পনেরো আগে মেয়েটিক প্রতার্পন করা হয়। দুই দেশের হাই কমিশনের সমস্ত প্রক্রিয়ার পর রবিবার ফের ছেলেটিকে ফেরত পাঠানো হল বাংলাদেশে। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার আন্তর্জাতিক হিলি ইমিগ্রেশান চেকপোস্টে প্রত্যর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন ওসি হিলি, দক্ষিণ দিনাজপুর আই সি পি বিকাশ মণ্ডল, দক্ষিণ দিনাজপুর চাইল্ডলাইনেরকোঅরডিনেটর সূরজ দাশ, সমাজকল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক ঋষিকেশ চক্রবর্তী, শুভায়ন হোম কর্তৃপক্ষ পরেশ হাজরা সহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছিলেনওসি হিলি আই সি পি আফতাব হোসেন। সেখানে ছেলেটিকে তার বাবা ও মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চাইল্ড লাইনের কো- অর্ডিনেটার সূরজ দাশ বলেন,বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শিয়ালকোল এলাকার বাসিন্দা বছর সতেরোর, অমৃত সূত্রধর। সে ক্লাস ইলেভেনে পড়ত ইসলামিয়া সরকারী কলেজে। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই এলাকার মুক্তা খাতুননামে বছর পনেরোর একটি মেয়ের। মেয়েটি গৌরী আরবান হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ে।প্রায় সাত – আট মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকায় জানাজানি হতেই ওরা জীবনের ভয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করারসিদ্ধান্ত নেয়। ছেলেটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ থানায় কিডন্যাপের অভিযোগ রয়েছে। তবে ভারতের আইন অনুযায়ী তারা ছেলেটিকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পন করলেন এদিন।

ছবিঃ দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই)

Facebook Comments
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!