অতিরিক্ত মুনাফার খোঁজে আজ উত্তরবঙ্গের চা বাগানের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার বেহাল অবস্থা
অরুনাংশু মৈত্র
উত্তরবঙ্গ তথা ডুয়ার্স এর আর্থ সামাজিক অবস্থা চা বাগান নির্ভরশীল। এখানকার জনজাতির বেশির ভাগই বসবাস করে চা বাগানে। এখানে বসবাস করে তপসিলি জাতি, তপসিলি উপজাতি, প্রভৃতি। আর এদের জীবিকা নির্ভর চা বাগানের উপর। এদের শরীর সাস্থ্য নির্ভর করে চা বাগানের ডাক্তারদের উপর। আর এই সব চা বাগানে নেই কোন উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তার। আছে অশিক্ষিত হাতুড়ে ও কুয়াক ডাক্তর, যাদের না আছে ডিগ্রি, না আছে রেজিস্ট্রেশন, তাদের চিকিৎসা করার কোন যোগ্যতাই নেই। চা বাগানের মালিকরা এখান থেকেও মুনাফা লুটে নিয়ে যাচ্ছে। আর নরকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই অসহায় অশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত শ্রমিক দের। এমনি অভিযোগ করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এই সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত ভাবে জানান কোলকাতা কমিউটার হিউম্যান রাইটস এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ সুকুমার এম.কে ঘোষ। তিনি আর অভিযোগে করেন যে সরকারি নিয়মে বলা আছে রেজিস্টার্ড ডাক্তর ছাড়া জনগণের চিকিৎসা করানো যাবেনা। কিন্তু সরকারি নিয়ম কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটছে মালিকরা। যেসকল শ্রমিকদের কল্যাণে চা বাগানের মালিকরা অর্থে ফুলে ফেঁপে উঠছে তাদের চিকিৎসার জন্য কোন ভাল পদক্ষেপ নিচ্ছে না চাবাগানের মলিকপক্ষ। এই ব্যপারে কলকাতা কমিউটার হিউম্যান রাইটস এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ সুকুমার এম.কে ঘোষ এর মতে তিনি উত্তরবঙ্গের সকল জেলা শাসক, মুখ্য সাস্থ্য আধিকারিক, চাবাগান মালিক সংগঠন, ডিবিটিআই এবং আইটিপিএ, ডেপুটি লেবার কমিশনার কে লিখিত ভাবে এই সকল বিষয় সবিস্তারে জানায়। তিনি আর বলেন যে মেমো নং ৩৪৬৮/১(১) তাং ৩১/১০/২০১৭ ও মেমো নং ৪৬৬/১(৩) এবং মেমো নং VII/5/2379/III/TG/ Genl তে বিভিন্ন জেলার আধিকারিক গণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রিপোট তলব করেছেন। তিনি আর বলেন দীর্ঘদিন যাবত এভাবে চা বাগান শ্রমিক দের প্রতি অন্যায় অবিচার হয়ে আসছে। দ্রুত এর সমাধান না হলে তিনি কোলকাতা উচ্চ আদালতে জনসার্থ মামলা করবেন এর প্রতিকার চেয়ে।