মহিলাকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগে যুবককে গনপ্রহার গঙ্গারামপুরে
দীপঙ্কর মিত্র (টী.এন.আই বালুরঘাট) । টী.এন.আই সম্পাদনা (শিলিগুড়ি)
বাংলাডেস্ক, টী.এন.আই গঙ্গারামপুর, ১৪ই অক্টোবর ২০১৭: রাস্তা আটকে মহিলাকে শ্লীলতাহানী করার ঘটনায় এক যুবককে ধরে গনপ্রহারের পর পুলিশের হাতে তুলে দিল উত্তেজিত জনতা। অভিযুক্ত অন্য দুই যুবক পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ফুল বাড়ি এলাকায় এই ঘটনায় উত্তেজনা রাত থেকে। জানাগেছে, গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সানন্দা তোকদার শুক্রবার রাতে তার দিদির সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বাজার থেকে। রাত হয়ে যাওয়ায় ফাঁকাই ছিল রাস্তা। ফুলবাড়ি হাটখোলা এলাকায় একটি মোটরবাইকে থাকা তিন যুবক তাদের পথ আটকায়। বাইকটির নম্বর ছিল ডাবলু বি-৬২-ডি ৫২০৬ । মদ্যপ থাকা ওই তিন যুবক মহিলার গায়ে হাত দিয়ে স্লীলতাহানী করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চিৎকার শুরু করেন সানন্দা দেবী ও তার দিদি। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। বাইকে থাকা একজন পালিয়ে গেলেও দুইজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তবে তার মধ্যে জনতার হাত ছিটকে আরো একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধরা পরা নুর ইসলাম নামে এক যুবককে গনপ্রহারের পর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। রাতেই পরিবার নিয়ে থানায় গিয়ে নুর ইসলাম, রাকিউল মিয়াঁ এবং মাহাবুদ মিয়াঁ নামে তিনজনেই বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সানন্দা দেবী। অভিযুক্ত নুর এবং মাহাবুদের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার পঞ্চগ্রাম এবং রাকিউলের বাড়ি গঙ্গারামপুরের শিবপুর এলাকায় বলে জানাগেছে। অভিযুক্ত বাকি দুইজনের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে বলে খবর গংগারামপুর পুলিশ সুত্রে। অভিযোগকারী সানন্দা দেবীর স্বামী পেশায় শিক্ষক পৃথ্বীরাজ কুমার সরকার বলেন, আজ তার পরিবারের সঙ্গে ভয়ানক ঘটনা ঘটতে চলেছিল। কাল অন্য কারও সঙ্গে এই ঘটনা ঘটবে। সুতারাং দুস্কৃতিদের সকলকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।