দার্জিলিং জেলা ক্যারামের অনলাইন ক্যারাম চ্যালেঞ্জে রেকর্ড অংশগ্রহণকারী
প্রনব দাস (টি.এন.আই শিলিগুড়ি) । টি.এন.আই সম্পাদনা শিলিগুড়ি
বাংলাডেস্ক, টি.এন.আই, দার্জিলিং, ১৬ই জুলাই, ২০২১: এমনিতেই গত বছর করোনার সময় বিভিন্ন খেলায় লম্বা ভাটা পরে সারা দেশে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময়ে এই অবস্থা হয় আরো শোচনীয়। যদিও এই সময়ে প্রতিজগিতা মূলক ক্যারাম খেলার এক অন্য মাত্রা পেয়ে যায় অনলাইন ক্যারাম এর মাধ্যমে। অনেকেই হয়ত মনে করবেন এটি কোন অনলাইন অ্যাপের গেম কি না। তবে না এটি সম্পূর্ণ ভাবেই হাতে-গুটিতে-বোর্ডে খেলা। তবে আসল খেলা থেকে পার্থক্য এটাই যে এই খেলাটি একে অপর খেলোয়ার নিজেদের বিরুদ্ধে নিজের ঘরে বসে খেলে যা লাইভ ভিডিও করা হয় কোন সোশাল মিডিয়ামের প্ল্যাটফর্মে। এই জন্যে কোন খেলোয়ার কে অপর খেলোয়ারের সামনা সামনি বসে খেলতে হয় না। বাকি আছে অনেক নিয়মাবলী। যদিও আন্তর্জাতিক বা জাতীয় বা প্রাদেশিক ভাবে এই খেলা এখনো সেই অর্থে মান্যতা পায়নি তবুও সারা দেশে অনেক ক্যারাম গোষ্টি এই খেলার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্যারাম শুরু করেছে গতবছর থেকেই। গতবছর শিলিগুড়ি ডিসট্রিক্ট ক্যারাম (২৯”) অ্যাসোসিয়েশন একটি এই ধরনের টুর্নামেন্ট করেছিল যা কিনা রাজ্য স্তরে সারা ফেলেছিল ক্যারাম জগতে। এবার এই ধরনের ক্যারাম টুর্নামেন্ট প্রথম আয়োজিত করল দার্জিলিং ডিসট্রিক্ট ক্যারাম (২৯”) অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ‘অল বেঙ্গল অনলাইন ক্যারম চ্যালেঞ্জ’।
বলা বাহুল্য এবার এই খেলায় প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ৯০। যা বলা যেতে পারে এই অঞ্চলে এক ধরনের রেকর্ড এবং যে সকল জেলা থেকে এই প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে তা হল হুগলী, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, দক্ষিণ কলকাতা, এলআইসিআই, ভারতীয় পোষ্ট, ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ এবং জিএসআরসি প্রমুখ। এই অনলাইন ক্যারাম চ্যালেঞ্জ শুরু হয় ২রা জুলাই থেকে। যদিও এই খেলার আয়োজনকারী সংস্থা দার্জিলিং ডিসট্রিক্ট ক্যারাম (২৯”) অ্যাসোসিয়েশন, কিন্তু এর পৃষ্ঠপোষক সংস্থা হিসেবে ছিল ক্যারাম (২৯”) অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। টুর্নামেন্ট শেষে এই অনলাইন ক্যারাম জেতে ইনকাম ট্যাক্সের খেলোয়াড় শ্রী প্রদীপ কুমার অগ্রহারী, রানার্স আপ হন হুগলীর চন্দন চৌধুরী, তৃতীয় স্থান পান হুগলী জেলারই ছোট্টু মণ্ডল এবং চতুর্থ স্থান পান পুরুলিয়ার সুরজ মুখী।
এই বিষয়ে দার্জিলিং ডিসট্রিক্ট ক্যারাম (২৯”) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী অকুল কুমার টিকাদার সকল স্পন্সর এবং সাহায্যকারিদের ধন্যবাদ জানান। সংস্থার সম্পাদক শ্রী সমীর পালও সকল কে ধন্যবাদ জানান। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির দীর্ঘদিনের জাতীয় স্তরের ক্যারাম খেলোয়ার এবং শিলিগুড়ি ডিসট্রিক্ট ক্যারাম (২৯”) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ক্যারাম আয়োজক টিএনআই কে জানান “এই অনলাইন খেলা ভবিষ্যতে কোন দিকে যাবে তা এখনই স্থির করে বলা যাচ্ছে না তবে এই খেলার মাধ্যমে অন্তত একটা আশাব্যাঞ্জক দিক হল, এর মাধ্যমে কিন্তু ক্যারাম খেলার খেলোয়াররা নিজেদের উজ্জীবিত করে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং নিজেদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পেড়েছে। যার এক মাত্র সাক্ষী হল সারা দেশে এই অনলাইন ক্যারাম টুর্নামেন্টে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণের লেখাচিত্র ক্রমশ দ্রুত উর্দ্ধমুখি। আশা করি এই চিত্র ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে”।
ছবি: সংবাদচিত্র